মধ্যপ্রাচ্যের রাজনৈতিক ও মানবিক পরিস্থিতি নিয়ে ইসলামিক রিলিফের সেমিনার
চলামান সহিংসতায় মধ্যপ্রাচ্যে যে ভয়াবহ রকমের মানবিক বিপর্যয় নেমে এসেছে তার থেকে পরিত্রাণের জন্য মানবিক নীতি গ্রহণ এবং মানবিক শ্রদ্ধাবোধের কোনো বিকল্প নেই। গত ১২ জানুয়ারি ওয়েস্টমিন্সটারের চার্চ হাউজ কনফারেন্স সেন্টারে আয়োজিত এক সেমিনারে জর্ডানের প্রিন্স হাসান বিন তালাল এমন অভিমত ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, তেল এবং সামরিক শক্তির এজেন্ডাকে বাদ দিয়ে মানবিক বিষয়গুলোকে প্রধান্য দেয়ার নীতি গ্রহণ করতে হবে।
গৃহযুদ্ধের কবলে পড়ে বিপর্যস্ত মধ্যপাচ্যের রাজনৈতিক ও মানবিক চ্যালেঞ্জগুলো নিয়ে ওই সেমিনারের আয়োজন করে ইসলামিক রিলিফ এবং কাউন্সিল ফর আরব ব্রিটিশ আন্ডারস্ট্যান্ডিং (কাবু)। প্রিন্স হাসান বিন তালাল এবং যুক্তরাজ্যের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন বিষয়ক সাবেক মন্ত্রী স্যার এলান ডানকান সেমিনারে মূখ্য বক্তা হিসেবে নিজ নিজ ভাবনা উপস্থাপন করেন। হাফিংটন পোস্টের পলিটিকেল ডিরেক্টর মেহেদি হাসানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত ওই সেমিনারে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ইসলামিক রিলিফের প্রধান নির্বাহী ড. মোহামেদ আশমাউয়ি এবং কাউন্সিল ফর আরব ব্রিটিশ আন্ডারস্ট্যান্ডিংয়ের পরিচালক ক্রিস দোয়েল।
সেমিনারে বক্তারা বলেন, মধ্যপ্রচ্য বর্তমানে স্মরণকালের সবচেয়ে খারাব মানবিক বিপর্যয় পার করছে। ২০১৪ সালে এ অঞ্চলের প্রায় ২৯ মিলিয়ন মানুষের মানবিক সাহায্যের প্রয়োজন পড়েছে।
স্যার এলান ডানকান বলেন, আমরা সিরিয়ায় মানবিক সহায়তা দেয়ার বিষয়টিকে স্বাগত জানাই। কিন্তু যারা সেখানে যুদ্ধ করার জন্য যাবে আমরা তাদের নিন্দা জানাই। তিনি সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে প্রতিটি নাগরিককে সোচ্চার হওয়ার জন্য আহবান জানান।