গণ-অভ্যুত্থান দিবসে মিসরজুড়ে বিক্ষোভে নিহত ২০
মিসরে গণ-অভ্যুত্থান দিবস পালন ও নিহতের প্রতিবাদে গত রোববার অনুষ্ঠিত বিক্ষোভে অন্তত ২০ জন নিহত হয়েছেন। দেশটির রাজধানী কায়রো, আল-মাতারিয়া, দামানহুর, আলেকজান্দ্রিয়া ও গিজা শহরে বিক্ষোভ চলাকালে পুলিশের গুলিতে তারা নিহত হন।
ভূ-মধ্যসাগরীয় বন্দর শহর আলেকজান্দ্রিয়ায় গত শনিবার বিক্ষোভরত অবস্থায় পুলিশের গুলিতে শাইমা আল-সাবাগ (৩২) নামে এক সন্তানের জননী ও শুক্রবার ১৭ বছর বয়সী ছাত্রী সন্দোস রাইদা আবু বকর নিহত হন। এ ঘটনার প্রতিবাদে ২৫ জানুয়ারি গণ-অভ্যুত্থানের চতুর্থবার্ষিকীতে বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে দেশটির বিভিন্ন রাজপথ। পুলিশের প থেকে জানানো হয়েছে, আলেকজান্দ্রিয়ায় পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় এক বিক্ষোভকারী। এ সময় নিরাপত্তা রাকারী বাহিনীর সদস্যদের পাল্টা গুলিতে সে নিহত হয়। দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দামানহুর শহরে বিস্ফোরক ডিভাইস পুঁতে রাখার সময় বিস্ফোরণ ঘটনায় দুই বিদ্রোহী নিহত হয়েছেন। বিক্ষোভকারীরা জানান, পুলিশ তাদের ওপর আক্রমণ চালালে হতাহতের ঘটনা ঘটে। এখন পর্যন্ত ৪০০ বিক্ষোভকারীকে আটক করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
২০১১ সালে তৎকালীন স্বৈরশাসক হোসনি মোবারকের পতনের দাবিতে রাজপথে নামেন মিসরের জনগণ। টানা ১৮ দিনের আন্দোলনের মাথায় ২৫ জানুয়ারি পতন ঘটে মোবারকের। এর পর থেকে গণ-অভ্যুত্থান দিবস হিসেবে দিনটি পালন করে আসছেন মিসরীয়রা। ২০১৩ সালে দেশটির প্রথম নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসিকে অপসারণ করে সেনাবাহিনী। পরে দেশটির প্রেসিডেন্ট হন সেনাপ্রধান আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি।