কোকোর দাফন সম্পন্ন, জানাযায় মানুষের ঢল
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর দাফন সম্পন্ন হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬ টা ৫৩ মিনিটের দিকে বনানী সিটি করপোরেশন কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়। এর আগে সন্ধ্যা ৬ টা ১০ মিনিটে তার লাশ বনানী সিটি করপোরেশন কবরস্থানের গেইটে পৌঁছায়। এরপর সাড়ে ৬ টার দিকে দাফন শুরু হয়।
এর আগে নামাজে জানাযা বাদ আসর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে সম্পন্ন হয়। মসজিদের খতিব প্রফেসর মাওলানা সালাহ উদ্দিন আহমদ জানাজায় ইমামতি করেন।
জানাজায় লাখো মানুষের ঢল নামে। লাশ আসার আগেই মানুষে পূর্ণ হয়ে যায় বায়তুল মোকাররম।
মসজিদের উত্তর ও দক্ষিণ ফটকের দুই সড়ক বেলা তিনটার দিকেই জনতার ভিড়ে পূর্ণ হয়ে যায়। সাড়ে তিনটার দিকে পল্টন মোড় থেকে লম্বা এই মানুষের সারি পার হয়ে যায় দৈনিক বাংলার মোড়।
মসজিদের দক্ষিণ ফটকেরও একই অবস্থা। মানুষ বঙ্গবন্ধু ও মওলানালা ভাসানী হকি স্টেডিয়াম ছাড়াও গুলিস্তানের বকচত্বর পর্যন্ত অবস্থান নেয়। বিকেল ৪টার দিকে কোকোর লাশ বহনকারী আলিফ মেডিক্যাল সার্ভিসের অ্যাম্বুলেন্সটি বায়তুল মোকাররমে পৌছে। বেলা পৌনে ৩টার দিকে অ্যাম্বুলেন্সটি গুলশান থেকে বায়তুল মোকাররমের পথে রওয়ানা হয়।
এর আগে বেলা ১১টা ৩৭ মিনিটে কোকোর লাশ বহনকারী মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের বিমানটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। বিমানবন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষে ড. মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, মেজর (অব) হাফিজউদ্দিন আহমেদসহ কয়েকজন বিএনপি নেতা লাশ গ্রহণ করেন। পরে খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয়ে তার লাশ রাখা হয়। সেখানে কোকোর মা ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া শেষবারের মতো ছেলের মুখ দেখেন।
এদিকে, আরাফাত রহমান কোকোর প্রতি সন্মান জানাতে সোমবার থেকে বিএনপির তিন দিনের শোক শুরু হয়েছে। দলীয় কার্যালয়ে দলীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ ও কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়। নেতাকর্মীরা বুকে কালোব্যাজ ধারণ করেছেন। এ ছাড়া এই তিন দিন সারাদেশের মসজিদে মসজিদে কোরআনখানি ও দোয়া মাহফিল হবে।
গত শনিবার হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে আরাফাত রহমান কোকো মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে মারা যান। স্ত্রী ও দু কন্যা নিয়ে প্রায় ছয় বছর তিনি সেখানে অবস্থান করছিলেন।
মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে জাতীয় মসজিদ নাগারায় রোববার দুপুরে তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।