মিশরে ভয়াবহ হামলায় ২৭ সেনা নিহত
মিশরের সিনাই উপত্যকায় সিরিজ হামলায় কমপক্ষে ২৭ জন নিহত হয়েছে। দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে বলা হচ্ছে নিহতদের বেশির ভাগ সেনাবাহিনীর সদস্য। এসব হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছে ইসলামিক স্টেটের মিশরীয় শাখা। একাধিক টুইটার বার্তায় তারা বৃহস্পতিবার রাতের চার দফা হামলার সবগুলোর দায়ই স্বীকার করেছে। গত কয়েক মাসের মধ্যে নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর এটা ছিল সবচেয়ে প্রাণঘাতী হামলা।
২০১৩ সালে সাবেক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মোরসি ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকেই দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী জিহাদি জঙ্গিদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়।
উত্তর সিনাই এর রাজধানী এল আরিশের সেনাবাহিনীর ওপর একটি গাড়ি বোমা ও গোলা বর্ষণ করা হয়।এতে একাধিক সৈন্য নিহত হয়।
অন্যান্য হামলাগুলো হয় পাশের শহর শেখ জুওয়াইদ ও গাজার সাথে সীমান্ত শহর রাফাতে।
কর্মকর্তারা বলছেন গাডড়ি বোমাটি আল-আরিশের একটি সেনাবাহিনীর ঘাঁটির বাইরে রাখা ছিল আর গোলা নিক্ষেপ করা হয়েছে সেনাবাহিনীর একটি হোটেল, পুলিশদের একটি ক্লাব এবং একাধিক চেকপয়েন্টকে লক্ষ্য করে।
আল-আহরাম নামের সরকারি একটি সংবাদপত্র বলছে ঐ হামলায় সেনাবাহিনীর ঘাঁটি এবং হোটেলটি সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়েছে।
রাফা চেকপয়েন্টে সেনাবাহিনীর একজন মেজর গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন বলে নিশ্চিত করেছে নিরাপত্তা বাহিনী।
এছাড়াও এসব সিরিজ হামলায় আরো ১০৫ জন আহত হয়েছে।
উত্তর সিনাইয়ে গত বছরের অক্টোবর থেকে জরুরি অবস্থা এবং কারফিউ জারি রয়েছে।
সেসময় ওখানকার একটি চেকপোস্টে হামলায় বেশ কয়েকজন সৈন্য নিহত হলে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সেনাবাহিনীও ঔ এলাকায় বড় বড় অভিযান চালালেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তারা ব্যর্থ হয়েছে।
সামরিক বাহিনীর ওপর হামলার এই প্রবণতা দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মোরসির ক্ষমতাচ্যুতির পর আরো বেশি হতে থাকে।
এছাড়াও মিশর জুরেই এ সপ্তাহে হোসনি মোবারকের ক্ষমতাচ্যুতর বার্ষিকী পালন নিয়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এতে ২৬ জন সরকার বিরোধী বিক্ষোভকারী মারা গেছেন।