অপরাধে জড়িতদের জিসিসিভুক্ত রাষ্ট্রে প্রবেশ ঠেকানোর উদ্যোগ
অতীতে কোন অপরাধকর্মে সংশ্লিষ্টতা রয়েছে এমন অভিবাসীদের পারস্য উপসাগরীয় রাষ্ট্রগুলোতে প্রবেশ ঠেকাতে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে জিসিসি (উপসাগরীয় রাষ্ট্রসমূহের কাউন্সিল)। এর ছয়টি রাষ্ট্র অপরাধ সংশ্লিষ্ট অভিবাসী কর্মীদের বিস্তারিত তথ্যের একটি যৌথ ডাটাবেজ তৈরি করতে কাজ করছে। আগে অবস্থান করা দেশে কোন অপরাধকর্মের সঙ্গে জড়িত থাকার প্রমাণ রয়েছে এমন ব্যক্তিকে উপসাগরীয় রাষ্ট্রগুলোতে প্রবেশ প্রতিহত করতে এ পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। জিসিসি’র এক সূত্র জানিয়েছে, জিসিসি রাষ্ট্রগুলোর শ্রম ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে প্রকল্পটির ছাড়পত্র প্রয়োজন হবে। গত অক্টোবরে রাষ্ট্রগুলোর শ্রমমন্ত্রীদের বৈঠকে এমন একটি ডাটাবেজ তৈরির বিস্তারিত ও প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা করা হয় বলে তিনি উল্লেখ করেন। এ প্রকল্পের সুফলের বিষয়গুলো তুলে ধরে জনশক্তি নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের এজেন্ট হাশিম করিম বলেন, কোন অভিবাসী কর্মী যদি দ্বিতীয় কোন জিসিসি রাষ্ট্রে অতীতে কোন অপরাধ করে থাকে এবং সেটা যদি শাস্তি বা দেশে ফেরত পাঠানো পর্যন্ত গড়িয়ে থাকে তাহলে সে অপর কোন জিসিসি রাষ্ট্রে প্রবেশ করতে পারবে না। তবে এটা বাস্তবায়ন কঠিন হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন। মি. হাশিম বলেন, অনেক অভিবাসী উপসাগরীয় কোন দেশ থেকে বিতাড়িত হওয়ার পর ভুয়া কাগজপত্র নিয়ে ভিন্ন নামে ওই একই দেশ বা অন্য জিসিসি দেশে প্রবেশ করে। তিনি আরও বলেন, জিসিসি দেশগুলোতে অপরাধের হার বেড়েছে আর বিদেশী কর্মীদের ক্রমবর্ধমান উপস্থিতিতে এর পেছনে একটি কারণ বলে উদ্ধৃত করা হয়ে থাকে। প্রক্রিয়াধীন নতুন এ ডাটাবেজে সকল অভিবাসীর বিস্তারিত তথ্য থাকবে। উল্লেখ্য, বর্তমানে উপসাগরীয় অঞ্চলে বিদেশী কর্মীদের সংখ্যা ২ কোটি। নিজ দেশগুলোতে এসব অভিবাসীরা বছরে প্রায় ৮৫০০ কোটি ডলার রেমিট্যান্স হিসেবে পাঠিয়ে থাকে।