তিন মা-বাবার এক সন্তানকে আইনি স্বীকৃতি দিচ্ছে ব্রিটেন
তিন মা-বাবার এক সন্তান! সম্ভবত আজই পৃথিবীতে প্রথম দেশ হিসাবে ইনভিট্রোফার্টিলাইজেশনের মাধ্যমে তিন মা-বাবার ডিএনএ স্বম্বলিত এক সন্তানের জন্মে আইনি স্বীকৃতি দিতে চলেছে ব্রিটেন। যদিও এই মুহূর্তে এই আইনি স্বীকৃতির পথে প্রধান বাধা ধর্মীয় নেতাদের লাগাতার বিরোধীতা।
সংসদ সদস্যরা আজই মাইট্রোকোনডিয়াল ডিএনএ দান টেকনিককে সংসদে আইনি স্বীকৃতি দিতে ইচ্ছুক। বংশানুক্রমিক ভয়াবহ অসুখগুলোকে প্রতিহত করতেই আইনের সাহায্যেই এই টেকনিকের প্রচলন করতে চাইছে ব্রিটেন।
সাধারণভাবে মায়ের শরীর থেকে সন্তানের দেহে মাইটোকোনড্রিয়াল ডিএনএ প্রবেশ করে। মাইটোকোনড্রিয়া কোষে প্রয়োজনীয় শক্তির যোগান দেয়।
বংশানুক্রমিক মাইটোকোনড্রিয়াল অসুখ শরীরের বেশিরভাগ অঙ্গের উপর ক্ষতিকর প্রভাব বিস্তার করে। এর ফলে শরীরে দুর্বল দৃষ্টিশক্তি, ডায়াবেটিস, পেশীর দুর্বলতার মত বহু উপসর্গ দেখা দেয়।
ইন ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন সংক্রান্ত আইন পরিবর্তনে প্রাথমিক প্রস্তাবে ছিল, গর্ভস্থ শিশু মা-বাবার কাছ থেকে ‘নিউকিয়ার’ ডিএনএ পেলেও ভ্রূণটির মধ্যে দাতা কোনো নারীর মাইটোকোনড্রিয়াল ডিএনএ প্রবেশ করানো যাবে।
কোনো কোনো বিশেষজ্ঞ যখন এই আইডিয়ার বাস্তবায়নের পক্ষে গলা ফাটিয়েছেন, অনেকে আবার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে এই আইন ‘ডিজাইনার বেবি’ তৈরির পথকেই সুগম করবে।
আজ সংসদ সদস্যরা এই বিষয়ে চরম সিদ্ধান্ত নিতে ৯০ মিনিটের এক বিতর্কে অংশগ্রহণ করবেন। তিনজন ভিন্ন ব্যক্তির জেনেটিক মেটেরিয়ালের সমন্বয়ে কোনো শিশু আইনত জন্মগ্রহণ করবে কিনা তার ভাগ্য নির্ধারিত হবে।
বিতর্কের শেষে সংসদ সদস্যরা এর স্বপক্ষে বা বিপক্ষে ভোট দিতে পারবেন। অর্থাৎ পার্টি পলিসি নয় নিজেদের ব্যক্তিগত সচেতনতা ও বোঝাপড়ার ভিত্তিতেই ভোট দেবেন তারা।