এবার অস্ট্রিয়ায় ইসলামিকরণ বিরোধী মিছিল
পেজিডার পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিতে দ্বিধা বিভক্তির পথে চলছে ইউরোপের দেশগুলো। জার্মানির পর এবার প্যাট্রিয়টিক ইউরোপিয়ান্স এগেইনস্ট দ্য ইসলামাইজেশন অব দ্য ওয়েস্ট (পেজিডা) প্রথমবারের মতো প্রতিবেশী দেশ অস্ট্রিয়ায় প্রতিবাদ মিছিল করেছে। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে জার্মানিতে পেজিডার প্রতিবাদ মিছিলগুলোতে ২০/২৫ হাজারের বেশি মানুষ যোগ দিলেও গত সোমাবর ভিয়েনার মিছিলটিতে মাত্র কয়েকশ মানুষ যোগ দিয়েছে। পেজিডার মিছিলে উপস্থিত মানুষের চেয়ে আশপাশে উপস্থিত পুলিশের সংখ্যাই বেশি ছিল।
আরো যা উল্লেখযোগ্য, পেজিডার মিছিল চলাকালে তাদের বিরুদ্ধেও বিক্ষোভ দেখাতে প্রায় ৫ হাজার মানুষ জড়ো হয়ে যায়। ইসলামিকরণের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হওয়া ইউরোপের সর্বশেষ দেশ অস্ট্রিয়া। এর আগে চেক রিপাবলিক, ডেনমার্ক এবং নরওয়েতে পেজিডার সমর্থনে ছোটখাট বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে এবং স্পেন, সুইডেন ও সুইজারল্যান্ডে পেজিডার সমর্থক গোী তৈরি হয়েছে। ভিয়েনার কেন্দ্রস্থলের একটি স্কোয়ারে জমায়েত হয়ে পেজিডার সমর্থকরা আমরা সেই জনগণ বলে স্লোগান তোলে। তাদের কেউ কেউ নাৎসি কায়দায় স্যালুট দেয়। এ সময় বিরুদ্ধবাদীরা পেজিডা নিপাত যাক স্লোগান দিয়ে এগিয়ে এলে পরিস্থিতি নাজুক হওয়ার আশঙ্কায় দাঙ্গা পুলিশ হস্তক্ষেপ করে। জার্মানি ও অস্ট্রিয়া, দুটি দেশের পেজিডা সংগঠকরাই নিজেদের মুসলিমবিরোধী নন বলে দাবি করেছেন। অস্ট্রিয়ার গ্রিন পার্টি পেজিডার এই মিছিলের সমালোচনা করেছে। অপরদিকে ডানপন্থি ফ্রিডম পার্টি এটিকে জরুরি নাগরিক অধিকার আন্দোলন বলে সাধুবাদ জানিয়েছে। ২০১৪ সালে পূর্ব জার্মান শহর ড্রেসডেনে পেজিডার উৎপত্তি হয়। এর আগে, জার্মানিতে ইসলামীকরণ বিরোধী বিক্ষোভ পাল্টা মিছিল সমাবেশ বিরোধী গোষ্ঠীগুলোর ইউরোপে কথিত ইসলামীকরণের বিরুদ্ধে জার্মানিজুড়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে প্যাট্রিয়টিক ইউরোপিয়ান্স এগেইনস্ট দ্য ইসলামাইজেশন অব দ্য ওয়েস্টর (পেজিডা) সমর্থকরা। গত অক্টোবর থেকেই প্রতি সপ্তাহে ইসলামিকরণের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ সমাবেশ করে আসছে পেজিডা। কিন্তু গত সোমবারের এই বিক্ষোভ আয়োজনে উল্লেখযোগ্য প্রতিবাদকারীর উপস্থিতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে। জার্মানির ড্রেসডেন শহরে পেজিডার এ ধরনের এক সমাবেশে রেকর্ড ১৮ হাজার মানুষ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া রাজধানী বার্লিন, কলোন ও স্টুটগার্ডেও পেজিডার কয়েক হাজার সমর্থক বিক্ষোভ মিছিল করেছেন। তবে সব জায়গাতেই পেজিডার কর্মসূচির বিরোধীরা পাল্টা সমাবেশ করেছে।
জার্মানির জ্যে রাজনীতিবিদরা পেজিডার কর্মসূচির নিন্দা জানিয়েছেন। বছরের শুরুতে নতুন বছরের ভাষণে দেশটির চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মের্কেল পেজিডা আন্দোলনকে আক্রমণ করে এর নেতাদের হৃদয় শত্রুতায় পূর্ণ ও তারা পূর্ব সংস্কারে আক্রান্ত বলে মন্তব্য করেছিলেন। পুলিশ জানিয়েছে, বার্লিনে পেজিডাবিরোধী প্রায় ৫হাজার মানুষ পেজিডার কয়েকশ সমর্থকের মিছিলে বাধা সৃষ্টি করে মিছিলের পরিকল্পিত পথ পরিবর্তনে বাধ্য করে। স্টুটগার্ড, মুয়েনস্টার ও হামবুর্গে প্রায় ২২ হাজার লোক পেজিডাবিরোধী মিছিল করে বলে বার্তা সংস্থা ডিপিএস জানিয়েছে। তবে ড্রেসডেন পুলিশ জানিয়েছে, এখানে পেজিডার ১৮ হাজার সমর্থকের সমাবেশটি এক পর্যায়ে অভিবাসনবিরোধী সমাবেশে পরিণত হয়। প্রায় ৩ হাজার মানুষ পেজিডাবিরোধী বিক্ষোভ করে। কলোনে পেজিডার প্রায় আড়াইশ সমর্থকের বিপরীতে কয়েক হাজার পেজিডাবিরোধী মানুষ বিক্ষোভ করেন।