বাংলাদেশে রাজনীতি হলো ক্ষমতার লড়াই : টিআইবি
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) এর মহাপরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেছেন, বাংলাদেশের রাজনীতি হচ্ছে ক্ষমতার লড়াই। এখানে একপক্ষ জিতবে অন্যপক্ষ নিঃস্ব হয়ে যাবে। যারা জিতবে তাঁদের কাছে ম্যান্ডেটের লাইসেন্স আছে। তাই তারা যেকোন কিছু করতে দ্বিধা করে না। এটাকে জিরো-সাম গেম বলা যায়(একপক্ষ জয়ী অন্যপক্ষ সর্বহারা)।
রবিবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে ‘বাংলাদেশে রাজনৈতিক সহিংসতার রূপ’ শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। বেলজিয়ামের কনফ্লিক্ট রিসার্স গ্রুপ (সিআরজি) এবং ঢাকা মাইক্রোগভারনেন্স রিসার্স ইনিসিয়েটিভ (এমআরজি) যৌথভাবে এ সেমিনারের আয়োজন করে।
ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, আজ সারাদেশের মানুষ অনিচ্ছা সত্ত্বেও তাদের জীবন দিতে বাধ্য হচ্ছে। কেউ চায় না তার জীবন এভাবে ঝলসে যাক। তারা অনিচ্ছা সত্ত্বেও রক্ত দিচ্ছে। এর মূল কারণ রাজনীতিবীদদের নষ্ট চিন্তা ভাবনা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্ন্তজাতিক বিভাগের অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদের পরিচালনায় সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট ইতিহাসবিদ অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, ঢাবির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. তানজিমউদ্দিন খান প্রমুখ। সেমিনারে বেলজিয়ামের জেন্ট ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক বার্ট সুইকেন্স ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আইনুল ইসলামের যৌথভাবে ২০০২ থেকে ২০১৩ পর্যন্ত বাংলাদেশে রাজনৈতিক সহিংসতা বিষয়ক একটি গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বলেন, আমাদের দেশ রাজনৈতি দিক থেকে অনুন্নত, অর্থনৈতিকভাবে উন্নয়নশীল। যে রাষ্ট্র রাজনৈতিক দিক থেকে অনুন্নত সে রাষ্ট্রে সহিংসতা ও অস্থিরতা হতে বাধ্য। বাংলাদেশ কখনো গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র নয়, এটি গণতন্ত্রায়নের রাষ্ট্র। আমাদের গণতন্ত্র হচ্ছে কেতাবে আছে গোয়ালে নেই।
ড. তানজিমউদ্দিন খান বলেন, দেশে যে দলই ক্ষমতাই আসুক না কেন সবাই বিরোধীদলকে বিভিন্ন মামলা হামলা দিয়ে কোণঠাসা করে রাখে। যার কারণে তারা গুপ্ত হামলাসহ নানা সহিংসতা বৃদ্ধি করে। যা দেশকে অনিবার্য সংঘাতের দিকে ঠেলে দেয়।