ইউক্রেনে সংঘাত বন্ধে কাজ করতে ঐকমত্য
ইউক্রেনে সংঘাত বন্ধে রূপরেখা প্রণয়নে একমত হয়েছেন রাশিয়া, জার্মানি ও ফ্রান্সের নেতারা। শুক্রবার রাতে মস্কোয় রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেল ও ফরাসি প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওলাঁদের দীর্ঘ বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়।
ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে রুশপন্থি বিদ্রোহীদের বিচ্ছিন্নতাবাদী গৃহযুদ্ধ থেকে কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ মিত্র কিয়েভকে রক্ষার নতুন উদ্যোগ হিসেবে শুক্রবার মস্কো যান জার্মানি ও ফ্রান্সের সরকারপ্রধানরা। ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় দোনেৎস্ক ও মিনস্কে বিদ্রোহীদের সঙ্গে সরকারি বাহিনীর প্রায় বছর খানেক ধরে সংঘর্ষ চলছে। ইউক্রেনের মিত্র পশ্চিমাদের অভিযোগ, রাশিয়া এ সংঘাতে মদদ দিচ্ছে। এ ধারণা থেকেই রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে মধ্যে রেখে একটি শান্তি পরিকল্পনা কার্যকর করতে চান ইউরোপীয় নেতারা।
শুক্রবার রাতে মস্কোয় প্রায় চার ঘণ্টা আলোচনা করেন পুতিন, মেরকেল ও ওলাঁদ। তিন পক্ষই বৈঠক শেষে এটিকে ‘গঠনমূলক ও বাস্তবসম্মত’ বলে অভিহিত করেছে। তাদের আলোচনার বিস্তারিত কিছু প্রকাশ করা হয়নি। এ তিনজনের বৈঠকের বিষয়বস্তু ও প্রস্তাব সম্পর্কে আজ রোববার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট পেত্রো পোরোশেঙ্কোকে জানানো হবে। মেরকেল ও ওলাঁদ আজ ফোনে পোরোশেঙ্কোর সঙ্গে আলোচনা করবেন। শুক্রবার তিন নেতা একটি প্রাথমিক শান্তি প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করেন। এ শান্তি প্রস্তাবে গত সেপ্টেম্বরে বেলারুশের মিনস্কে সম্পাদিত অস্ত্রবিরতি চুক্তিটি ফের কার্যকর করার কথা রয়েছে।
মস্কো যাওয়ার আগে বৃহস্পতিবার ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে এ প্রস্তাব নিয়ে পোরোশেঙ্কোর সঙ্গে একদফা বৈঠক করেছিলেন মেরকেল ও ওলাঁদ।
মস্কোয় বৈঠক শেষে দেশে ফিরে গতকাল শনিবার জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেল জানান, ইউক্রেনকে অস্ত্র সরবরাহ করার পশ্চিমা প্রস্তাবের পক্ষে নন তিনি। মিউনিখে অনুষ্ঠিত নিরাপত্তাবিষয়ক এক সম্মেলনে গতকাল মেরকেল বলেন, আমি মনে করি ইউক্রেন যা চায় তা আরও অস্ত্র দিলেও অর্জিত হবে না। এ অঞ্চলে আগে থেকেই অনেক অস্ত্র আছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। মেরকেল বলেন, এ সংঘাতের সামরিক কোনো সমাধান নেই বলেই আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি। ফ্রান্সে ফিরে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ওলাঁদ বলেন, ইউক্রেনে যুদ্ধ এড়ানোর এটিই শেষ সুযোগ বলে তিনি মনে করেন।