ভারতের কাছ থেকে একটু গণতন্ত্র শিখতে পারি না ?
বিশিষ্ট নির্মাতা মোস্তফা সরওয়ার ফারুকী দেশের চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা নিয়ে বলেছেন, “ভারতের কাছ থেকে এতো কিছু শিখি, একটু গণতন্ত্র শিখতে পারি না? বিরুদ্ধ মত নিয়া পাশাপাশি চলা, রাজনৈতিক, সামাজিক, আর প্রাতিষ্ঠানিক সৌজন্য দেখানোর উপায় শিখতে পারি না?”
শনিবার তার ফেইসবুক স্টাটাসে তিনি এমন প্রশ্ন করেন। ফারুকী এই মুহূর্তে ভারতে অবস্থান করছেন।
তার স্টাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো-“ভারতে বসে বসে মিটিংয়ের ফাঁকে ফেসবুকের প্রোফাইলে প্রোফাইলে বাংলাদেশকে খুঁজেছি । সচরাচর অন্যের প্রোফাইল দেখার সুযোগ হয় না । ঘুরে ঘুরে যে ছবি দেখেছি তা চরম আশাবাদী মানুষকেও হতাশ করে তুলবে ।”
“আওয়ামী লীগের বন্ধুদের প্রোফাইলে গিয়ে দেখি ওরা যুদ্ধে আছে। বিএনপির বন্ধুদের প্রোফাইলে গিয়ে দেখি ওরাও যুদ্ধে আছে ।আর আমি শুধু দেখি অন্ধকার।মুখোমুখি বসিবার কেউ নেই।আছে শুধু অন্ধকার ।”
“যে ঘোড়ার পিঠে চড়েছি আমরা দুই দল, ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় এ এক অন্ধ ঘোড়া যার কেবল পতনের রাস্তাটাই চেনা আছে ।”
ফারুকী লিখেছেন, “আর আমরা যারা যুদ্ধের দামামা বাজিয়ে চলেছি তাদের চোখে যাদুকর পড়িয়ে দিয়েছে এক ঠুলি আর হাতে ধরিয়ে দিয়েছে তর্কশাস্ত্রের বাহাত্তর খন্ড পুস্তক। আমাদের দিলে তাই রহম নাই, আমাদের দেশে প্রজ্ঞা বলে কোনো শব্দ নাই, আমাদের অভিধানে ক্ষমা বলে কোনো বস্তু নাই।
“আমাদের ধর্মের নাম “নির্মূল ধর্ম”। আমি তোমাকে, তুমি আমাকে-চলো নির্মূল নির্মূল খেলি। কখনো গ্রেনেড, কখনো পেট্রোল বোমা, কখনো রাজার বন্দুক, কখনো জ্ঞান ব্যাপারীর কলম। চলো মারি অবিশ্বাসীরে। আর এই করতে গিয়ে যুদ্ধের ময়দানে যদি কিছু অযোগ্য অপদার্থ সাধারণ প্রাণ পুড়ে কয়লা হয় হোক। ওসব ইতিহাসের জ্বালানি। আহ্!
আহ্!”
“আমরা ভারতের কাছ থেকে এতো কিছু শিখি, একটু গণতন্ত্র শিখতে পারি না? বিরুদ্ধ মত নিয়া পাশাপাশি চলা, রাজনৈতিক, সামাজিক, আর প্রাতিষ্ঠানিক সৌজন্য দেখানোর উপায় শিখতে পারি না?”