দেশ ও জাতিকে যেকোন সংকট থেকে উত্তির্ণের জন্য ইসলামি শিক্ষার বিকল্প নেই : আব্দুল কাদির সালেহ
আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো সামনে মাথা নত করার নামই শিরক, ইসলামের মূল শিক্ষা হলো শিরকমুক্ত ব্যক্তি ও সমাজ গঠন। পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ট শিক্ষা হলো কোরআনিক শিক্ষা। কোরআন-হাদিসের আনুগত্য করলেই মানুষের পক্ষে সুখ-শান্তি অর্জন সম্ভব। মাদরাসাগুলোতে মূলত কোরআন-হাদিসের শিক্ষাই দেওয়া হয়। এই শিক্ষা ছাড়া কোন জাতি বা মানুষ সংকটের প্রকৃত মোকাবেলা করতে পারবে না। সবাইকে স্মরণ রাখতে হবে, দেশ ও জাতিকে যেকোন সংকট থেকে উত্তির্ণের জন্য ইসলামি শিক্ষার বিকল্প নেই। দল-মত-ধর্ম নির্বিশেষে সবাইকে এই শিক্ষা অর্জন করতে হবে। ইসলাম শুধু মুসলমানের ধর্ম নয়, ইসলাম গোটা মানবজাতির জীবন দর্শন।
সোমবার বালুচরস্থ জামিআ সিদ্দিকিয়ায় এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিশিষ্ট লেখক, ইসলামী চিন্তাবিদ, জাতীয় দৈনিক আল-মুজাদ্দিদের সাবেক সহ-সম্পাদক, লন্ডনের আল-হুদা ইসলামিক সেন্টারের প্রধান ও বার্মিংহাম আল-আমিন প্রাইমারি ও হাইস্কুলের ম্যানিজিং কমিটির প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক মাওলানা আব্দুল কাদির সালেহ এ কথাগুলো বলেন।
জামিআ সিদ্দিকিয়ার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি কবি ও প্রাবন্ধিক সৈয়দ মবনুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখতে গিয়ে সিলেট ক্যাডেট কলেজের সাবেক অধ্যাপক বজলুর রহমান বলেন, জামিআ সিদ্দিকিয়া ইসলামী শিক্ষার সাথে জাতীয় শিক্ষার সমন্বয় ঘটিয়ে এই অঞ্চলের শিক্ষা আন্দোলনে একটি নতুন চিন্তার জন্ম দিয়েছে। আমরা আশাবাদি এই প্রতিষ্ঠানের ছাত্রদের নিয়ে।
বিশিষ অতিথির বক্তব্যে দৈনিক আমারদেশ পত্রিকার সিনিয়র ষ্টাফ রিপোটার বাছির জামাল বলেন, আধুনিক পৃথিবীতে ইসলামের মাধ্যমেই শিক্ষার বিস্তার ঘটেছে। মুসলমানরা অনুবাদ না করলে পৃথিবীর মানুষ গ্রীস দর্শনের জ্ঞান লাভ করতে পারতো না। ইসলামের মৌলিকত্বই হচ্ছে জ্ঞান অর্জনে। ইকরা পড় দিয়েই ইসলামের সূচনা হয়েছে।
সভাপতির বক্তব্যে কবি সৈয়দ মবনু বলেন, জামিআ সিদ্দিকিয়ার সূচনালগ্নে আমরা অঙ্গিকার করেছিলাম ইসলামী শিক্ষার সাথে জাতীয় শিক্ষার সমন্বয়ে এই প্রতিষ্ঠান পরিচালিত হবে। এক্ষেত্রে প্রচুর প্রতিবন্ধকতা অবশ্য রয়েছে। তবু আমরা বিগত একযুগে এই ঘোষনাটি বাস্তবায়নের চেষ্টা করেছি। পূর্ণাঙ্গ সফলতার দাবী আমরা করবো না, তবে মোকাবেলা করে দাঁড়িয়ে আছি, তা স্বীকার করতে হবে। কিয়ামত পর্যন্ত যেন দাঁড়িয়ে থাকতে পারি সেই দোয়ার প্রত্যাশী আমরা।
জামিআ সিদ্দিকিয়ার উপ-পরিচালক মাওলানা রেজাউল হকের সঞ্চালনায় এবং প্রতিষ্ঠানের ছাত্র জহিরুল ইসলামের কোরআন তিলাওয়াত ও ফাহমিদা চৌধুরীর সঙ্গীতের মধ্যদিয়ে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জামিআ সিদ্দিকিয়ার পরিচালক মাওলানা এনামুল হক নোমান, জামিআ সিদ্দিকিয়ার জোনাকি শাখার পরিচালক মাওলানা জামিল আহমদ চৌধুরী, জামিআ সিদ্দিকিয়ার ফতোয়া বিভাগের পরিচালক মুফতি মনসুর আহমদ, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র আব্দুল মান্নান প্রমূখ।