এইচএসবিসি’র বিরুদ্ধে গ্রাহকদের কর ফাঁকিতে সাহায্যের অভিযোগ
বহুজাতিক ব্যাংক এইচএসবিসি তার গ্রাহকদের মিলিয়ন মিলিয়ন পাউন্ড অর্থের কর ফাকি দিতে সহায়তা করেছে। খবর বিবিসি।
অভিযোগ অস্বীকার করে এইচএসবিসি বলছে, কিছু গ্রাহক প্রতিষ্ঠানের গোপনীয়তা নীতির সুযোগে অপ্রদর্শিত এ্যকাউন্ট চালাচ্ছিল। তবে, এখন ব্যাংকটি সেসব দুর্বলতা পুরোপুরি কাটিয়ে উঠেছে বলে দাবি করছে।
অনুসন্ধানে প্যানোরমা দেখেছে, অফশোর ব্যাংক এ্যকাউন্ট অর্থাৎ, যেসব একাউন্ট একজন গ্রাহক নির্দিষ্ট কোন দেশের অবস্থান না করেও চালাতে পারেন, এমন এ্যকাউন্টের মাধ্যমে কর ফাকি দিতে সাহায্য করছিল ব্যাংকটি।
যেহেতু প্রচলিত আইনে এসব এ্যাকাউন্টের নগদ অর্থের ওপর কর প্রদান করতে হয়না, সেকারণে ব্রিটেনের অবস্থাপন্ন গ্রাহকদের নগদ জামানতের বেশির ভাগটাই ঐসব এ্যাকাউন্টে দেখানো হত।
ব্রিটেনের একজন সাবেক কর কর্মকর্তা রিচার্ড ব্রুকস বলছেন, তার মতে কর যাতে না দিতে হয় এবং কর ফাকি দেয়া—দুই ধরণের সুবিধাই ব্যাংকটি তার গ্রাহকদের করে দিত। আর তারা জানত যে এজন্য গ্রাহকেরা তাদের কাছে আসবেনই।
২০০৭ সালে সুইজারল্যান্ডে এইচএসবিসি’র বেসরকারি ব্যাংকে এক লাখেরও বেশি গ্রাহকের লেনদেনের বিস্তারিত তথ্য ফাঁস করে দেন ব্যাংকের একজন সাবেক কর্মী।
২০১৩ সালে ঐসব তথ্য পর্যালোচনা করে ফরাসি কর্তৃপক্ষ দেখতে পান, তালিকায় থাকা দেশটির গ্রাহকদের প্রায় সবাই কর ফাকি দিয়েছে।
এক বিবৃতিতে এইচএসবিসি বলছে, ব্যাংকটি এর বেসরকারি কার্যক্রম সংস্কার করেছে এবং সুইস এ্যাকাউন্টের সংখ্যা প্রায় সত্তর শতাংশ কমিয়ে এনছে। এছাড়া, কর ফাকি এবং অর্থ পাচার রোধেও ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে দাবি করছে ব্যাংকটি।