ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবে ২ শতাধিক অভিবাসী নিহত
ভূমধ্যসাগরে ইঞ্জিনচালিত একাধিক নৌকাডুবে ২০৩ অভিবাসী নিহত হয়েছেন। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। খারাপ আবহাওয়া ও অতিরিক্ত যাত্রী থাকার কারণে ডিঙ্গি নৌকাগুলো ডুবে যায় বলে ধারণা করা হচ্ছে।
জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) মুখপাত্র কারলোতা সামি বুধবার এক টুইটার বার্তায় জানিয়েছেন, ‘নৌকাডুবির চারদিন পর ৯ অভিবাসীকে উদ্ধার করা হয়েছে। বাকী ২০৩ জন সমুদ্রের ঢেউয়ে তলিয়ে গেছেন।’
গত শনিবার লেবাননের উপকূল থেকে নৌকাগুলো ইতালির উদ্দেশে ছেড়ে যায় বলে জানিয়েছে ইউএনএইচসিআর।
আন্তর্জাতিক অভিবাসী সংস্থা (আইওএম) জানিয়েছে, ‘ইতালির লম্পেদুসা দ্বীপের কাছ থেকে দেশটির কোস্টগার্ড ৯ অভিবাসীকে উদ্ধার করেছে। তারা ফরাসি ভাষায় কথা বলছেন। সম্ভবত এসব অভিবাসী পশ্চিম আফ্রিকার দেশ আইভরি কোস্ট বা সেনেগালের নাগরিক।’
এর আগে গত সোমবার ভূমধ্যসাগরে ইতালির লম্পেদুসা দ্বীপের কাছে তীব্র শীতে মারা যাওয়া ২৯ অভিবাসীর মরদেহ উদ্ধার করে ইতালির কোস্টগার্ড। প্রচণ্ড বাতাস ও উত্তাল সাগরের ঢেউয়ে ভিজে গেলে মারা যান ওই অভিবাসীরা।
গত এক বছরে উত্তর আফ্রিকা থেকে ইউরোপ যাওয়ার পথে এক হাজারের বেশি অভিবাসী মারা গেছেন। ২০১৩ সালের অক্টোবরে লাম্পেদুসার উপকূলে একটি মাছ ধরা নৌকাডুবিতে ৩৬৬ জন অভিবাসী মারা যান। এর পর ইতালি ‘মেয়ার নস্ট্রাম’ নামের একটি অনুসন্ধান ও উদ্ধারকারী দল প্রতিষ্ঠা করে। তবে এক বছর পরেই দলটির কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়।