শেষ হলো ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা

Trade Fairশেষ হলো ২০তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা। মঙ্গলবার সমাপনী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শেষ হলো দেশি-বিদেশি ব্যবসায়ী আর সব শ্রেণী-পেশার মানুষের এই মিলন মেলা। এবারের মেলায় রফতানি আদেশ পাওয়া গেছে ৯৫ কোটি টাকার। এক মাস ১০ দিনব্যাপী এ মেলার শেষ দিনে দর্শনার্থী ও ক্রেতাদের ছিল উপচেপড়া ভিড়। এজন্য ক্রেতা-দর্শনার্থীদের আকৃষ্ট করতে মেলার প্রতিটি স্টল, প্যাভিলিয়নে ছিল বিশেষ ছাড়। বিক্রেতারা জানালেন, শেষ সময়ে মেলায় নিয়ে আসা পণ্য বিক্রিই এখন উদ্দেশ্য। এজন্য সামান্য লাভেই বিক্রি করে দেয়া হচ্ছে। শেষ দিনের ছাড় নিতে মেলায় দর্শনার্থীর তুলনায় ক্রেতাই ছিল বেশি। ফলে বিক্রেতারা বিক্রি নিয়ে কোনো প্রশ্ন তোলেননি। মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, এ মেলার মাধ্যমে দেশের রফতানি বাণিজ্য ১৫ কোটি টাকা বেড়েছে। সমাপনী অনুষ্ঠানে রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস-চেয়ারম্যান শুভাশীষ বসুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মো. তাজুল ইসলাম চৌধুরী, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন, ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই সভাপতি কাজী আকরাম উদ্দিন আহমদ প্রমুখ। ১লা জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০তম এই মেলার উদ্বোধন করেন। মাসব্যাপী এই মেলা ৩১ জানুয়ারি চলার কথা থাকলেও ১০দিন বাড়িয়ে চলে ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে এই আয়োজনে বাংলাদেশের পাশাপাশি ১৪ দেশের ৪৮টি প্রতিষ্ঠান ছিল। সব মিলিয়ে ছিল ৫০০ স্টল। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) আয়োজিত এবারের মেলায় ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস, মেশিনারিজ, কার্পেট, কসমেটিকস অ্যান্ড বিউটি এইডস, পাটজাত পণ্য, লেদার গুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার, স্পোর্টস গুডস, স্যানিটারিওয়্যার, খেলনা, স্টেশনারি, ঘড়ি, জুয়েলারি, সিরামিক, টেবিলওয়্যার, দেশীয় বস্ত্র, কেবল, মেলামাইন, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, ফাস্ট ফুড, আসবাব ও হস্তশিল্প ইত্যাদি প্রদর্শন ও বিক্রি হয়।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button