সু্ইজ ব্যাংকে অর্থ পাচারের কোনো তথ্য নেই এইচএসবিসি’তে
বাংলাদেশের ১৬ ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকে অর্থ পাচারের কোনো তথ্য জানে না এইচএসবিসি বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বাংলাদেশ আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিটের (বিএফআইইউ) সঙ্গে এক বৈঠকে এইচএসবিসির বাংলাদেশ অফিসের প্রতিনিধিরা এ তথ্য জানান।
বিএফআইইউর উপ-প্রধান ও বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ম. মাহফুজুর রহমানের সভাপতিত্বে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে অনুষ্ঠিত ঐ বৈঠকে এইএচবিসির প্রধান মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ পরিপালন কর্মকর্তা (ক্যামেলকো) ইব্রাহীম সারোয়ার, জনসংযোগ বিভাগের প্রধান তালুকদার নোমান আনোয়ারসহ চারজন প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
ম. মাহফুজুর রহমান বলেন, এইচএসবিসি ব্যাংকের মাধ্যমে বিভিন্ন দেশ থেকে অর্থ পাচার করে সুইস ব্যাংকে রাখার বিষয়ে সমপ্রতি অনেক পত্রিকায় রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। রিপোর্টের শেষের দিকে বাংলাদেশের নামও আছে। আসলে কী ঘটেছে তা জানতে এইচএসবিসির সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। তারা জানিয়েছে, বাংলাদেশ থেকে অর্থ পাচারের কোনো তথ্য তাদের কাছে নেই। এছাড়া এগুলো ২০০৬ সালের আগের ঘটনা। তাদের সঙ্গে অ্যাকাউন্ট সংরক্ষণ করেন এমন প্রবাসী বাংলাদেশি হয়তো সেখানে অর্থ রেখে থাকতে পারেন।’
মাহফুজুর রহমান জানান, ২০০৬ সালের আগে বাংলাদেশে বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আইন কার্যকর হয়েছে। মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনও কার্যকর হয়েছে ২০০২ সালে। অফিসিয়ালি এখান থেকে টাকা পাচারের সুযোগ তখনও ছিল না, এখনও নেই। প্রকাশিত রিপোর্টে বাংলাদেশ থেকে পাচার হয়েছে, না বাংলাদেশি যারা বিদেশে আছেন তারা সেখানে রেখেছেন তা বলা নেই। আর প্রবাসী বাংলাদেশিরা যে কোনো জায়গায় টাকা রাখতে পারেন।
তিনি জানান, এসব অর্থ বাংলাদেশ থেকে গেছে নাকি প্রবাসী বাংলাদেশিরা সেখানে রেখেছেন শিগগিরই পরিদর্শক দল পাঠিয়ে তা যাচাই করবে বাংলাদেশ ব্যাংক। একই সঙ্গে যারা সেখানে টাকা রেখেছেন তাদের বিষয়ে জানতে সুইজারল্যান্ড কর্তৃপক্ষকেও চিঠি দেওয়া হবে।
২০৩টি দেশের ২ লাখ ৬ হাজার ব্যাংক হিসাবের তথ্য বিশ্লেষণ করে গত সোমবার দেশভিত্তিক একটি তালিকা প্রকাশ করে আন্তর্জাতিক অনুসন্ধানী সাংবাদিক কনসোর্টিয়াম (আইসিআইজে)।
এতে বলা হয়, বাংলাদেশের ১৬ ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকগুলোতে ১ কোটি ৩০ লাখ ডলার বা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১০২ কোটি টাকা রেখেছে।