১৩.২ মিলিয়ন পাউন্ড অনুদান পেলো টাওয়ার হ্যামলেটস
টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিল ডিসেন্ট হোমস প্রোগ্রামের জন্য ১৩ দশমিক ২ মিলিয়ন পাউন্ড গ্র্যান্ট বা অনুদান লাভ করেছে। গ্রেটার লন্ডন অথোরিটি (জিএলএ)-এর কাছ থেকে পাওয়া এই অনুদানের অর্থ কাউন্সিলের মালিকানাধীন ৯১৭টি ঘর ২০১৬ সালের মার্চের মধ্যে মানসম্মত পর্যায়ে উন্নীত করার কাজে ব্যয় করা হবে।
টাওয়ার হ্যামলেটসের বাড়ি ঘরকে আধুনিক, উষ্ণ ও পানিরোধক করে তুলতে জিএলএ ও কাউন্সিলের ১৮১ মিলিয়ন পাউন্ডের বিনিয়োগের পুরস্কার হিসেবে এই অনুদান পাওয়া গেলো।
বারার বাসিন্দাদের জীবন মান উন্নয়নে এই অনুদান ব্যাপক পরিবর্তন আনবে। মিসেস রাহেলা বেগম নামের একজন বাসিন্দা বলেন, আমাদের নতুন কিচেন ও বাথরুম খুবই মানসম্পন্ন ও চমৎকার। উন্নয়ন কাজ চলাকালে বি?াররা আমাদের প্রতিদিনকার জীবন যাত্রায় যাতে কম বিঘœ সৃষ্টি হয়, সে ব্যাপারে খুব যতœবান ছিলেন এবং এই উন্নয়ন কাজ আমাদের জীবনে সত্যিকারের পরিবর্তন এনেছে।
২০১১ সালের এপ্রিল মাসে ব্যাকলগ প্রোগ্রাম শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত ৫ হাজার ১৯২টি ঘরকে ডিসেন্ট হোম স্ট্যান্ডার্ডে উন্নীত করেছে টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিল। জিএলএ এর পক্ষ থেকে অতিরিক্ত অর্থ বিনিয়োগের মাধ্যমে ডিসেন্ট মানে উন্নীত করার বাড়ি-ঘরের সংখ্যা ৬ হাজারে পৌঁছাবে।
২০১৬ সালের মার্চ মাস নাগাদ টাওয়ার হ্যামলেটসে নন-ডিসেন্ট হোমসের আনুপাতিক হার অনেক হ্রাস পেয়ে ১০ শতাংশের নিচে নেমে যাবে। ২০১০ সালের তুলনায় এটি নিঃসন্দেহে ভিন্নধর্মী পরিসংখ্যান – তখন টাওয়ার হ্যামলেটস হোমসের ব্যবস্থাপনার আওতায় বাড়ি-ঘরের ৭৭ শতাংশই ছিলো ডিসেন্ট স্ট্যান্ডার্ডের অনেক নীচে।
টাওয়ার হ্যামলেটসের মেয়র লুতফুর রহমান বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে হাউজিং খাতে বিনিয়োগ ছিলো মূল অগ্রাধিকারসমূহের অন্যতম এবং এই বিনিয়োগ ব্যাপক সাফল্য অর্জন করেছে। বর্তমান বাড়ি ঘরের উন্নয়ন ও সংস্কার, নতুন ঘর নির্মাণ অথবা প্রোপার্টি ডেভেলপারদের সাথে দেন-দরবার করে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সোশ্যাল ও এফোর্ডেবল হাউজিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই সাফল্যেরই স্বীকৃতি হচ্ছে জিএলএ-এর কাছ থেকে পাওয়া বিপুল অংকের এই অনুদান। কেবিনেট মেম্বার ফর হাউজিং এন্ড ডেভেলপমেন্ট কাউন্সিলার রাবিনা খান বলেন, বারার ঘর বাড়ির উন্নয়নের লক্ষ্যে গৃহীত ডিসেন্ট হোম প্রোগ্রামে বিনিয়োগ হচ্ছে বাসিন্দাদের সারা জীবনে একটিবারের জন্য বৃহত্তম বিনিয়োগ।