লন্ডনে হোম অফিসের বিরুদ্ধে মামলায় বাংলাদেশি ছাত্রের জয়
আমেরিকান কোম্পানী ইটিএসের টোয়িক বা ইংলিশ টেস্ট পরীক্ষার সার্টিফিকেট বাতিল হবার পর থেকে যুক্তরাজ্যে বিপাকে পড়েছেন প্রায় কয়েক হাজার ছাত্র। উচ্চশিক্ষার জন্য বিলেতে আসা বিদেশী স্টুডেন্ট যারা টোয়িক সার্টিফিকেটধারী তাদের স্পন্সরশীপ বাতিল করে দিচ্ছে ইউনির্ভাসিটিগুলো। এসব স্টুডেন্টদের কোনো আপিলের সুযোগও দেয়া হচ্ছে না। বলা হচ্ছে নিজ দেশে গিয়ে আপিল করার জন্য। এরমধ্যে আবার কেউ আপিলের সুযোগও পেয়েছেন। ফার্ষ্ট টায়ার ট্রাইব্যুনালে আপিল করে নিজের পক্ষে রায়ও নিয়ে এসেছেন।
বিপিপি ইউনির্ভাসিটির এমএসসি ফাইনাল ইয়ারের স্টুডেন্ট আল আমিন। ইটিএসে টোয়িক অর্থাৎ ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ পরীক্ষা দিয়েছিলেন ২০১২ সালে। আর গত বছরের সেপ্টেম্বরে ইউরোপ থেকে ছুটি কাটিয়ে ইউকেতে ফেরার পথে গেটউইক এয়ারপোর্টে আটক হন আল আমিন। ইটিএস থেকে টোয়িক পরীক্ষা দেয়াই মূলত তার অপরাধ। প্রায় ১০ ঘন্টা জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে রাইট অব আপিলের সুযোগ দেয়া হয়।
আল আমিন আপিলের সুযোগ পেলেও এ সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন প্রায় কয়েক হাজার টোয়িক সার্টিফিকেধারী স্টুডেন্ট। টোয়িক পরীক্ষায় জ্বালিয়াতি নিয়ে গত বছর ফেব্রুয়ারীতে প্যানোরামা প্রচার করে বিবিসি। এরপর থেকে আমেরিকান কোম্পানী ইটিএস থেকে টোয়িক পরীক্ষার সার্টিফিকেটধারী স্টুডেন্টদের উপর খরগ নামতে শুরু করে। টোয়িক সার্টিফিটকে মোটামুটি অবৈধ ঘোষণা করেছে হোম অফিস। এ কারণে টোয়েক সার্টিফিকেটধারী কোনো স্টুডেন্টকে স্পন্সরশীপ দিচ্ছে না কোনো ইউনির্ভাসিটি। বরং টোয়েক সার্টিফিকেটধারী স্টুডেন্টকে স্ব স্ব দেশে গিয়ে এর বিরুদ্ধে আপিলের পরামর্শ দিচ্ছে হোম অফিস। এর মধ্যে ব্যতিক্রম হলে আল আমিন। ফার্স্ট টায়ার ট্রাইব্যুনালে আল আমিনের মামলাটি লড়েছেন ইউনিভার্সেল সলিসিটর্সের এম জামান। টোয়িক সার্টিফিকেটধারী প্রায় কয়েক হাজার স্টুডেন্টরা বিষয়টির উপর জুডিশিয়াল রিভিউর আবেদন করেছেন। নিম্ন আদালতের রায় হলেও উচ্চ আদালতে আপিল কোর্ট থেকে জিতে আসতে পারলে তা হাজার হাজার স্টুডেন্টদে ভাগ্য বদলে দিতে পারে বলে আশা করছেন তিনি। ফার্স্ট টায়ার ট্রাইব্যুনালে আল আমিনের মামলার রায় হয়েছে ৫ ফেরুয়ারী। ৭ ফেব্রুয়ারী থেকে পরবর্তীতে ১৪ দিনের ভেতরে হোম অফিসকে উচ্চ আদালতে আপিল করতে হবে এর রায়ের বিরুদ্ধে।