ব্রিটেনে ভিসা সিষ্টেমে পরিবর্তন আনার পরিকল্পনা
ব্রিটেনে বিদেশী বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে ভিসা সিষ্টেমে পরিবর্তন আনার পরিকল্পনা করছে সরকার, সম্প্রতি হোম সেক্রেটারী থেরেসা মের এমন ঘোষনায় আবারো আশা জাগিয়েছে ইমিগ্র্যান্ট কমিউনিটিতে। আইনজীবিরা বলছেন, ভিসা সিষ্টেম সহজ করলে তা ব্রিটেনের অর্থনীতির জন্য ভালো। তবে নির্বাচনের আগে ইমিগ্রেশন ইস্যু নিয়ে সরকারের এমন নমনীয় ভাব, নির্বাচনী প্রচারনার কৌশল হতে পারে বলেও সংশয় প্রকাশ করেছেন কেউ কেউ।
সম্প্রতি হোম সেক্রেটারী টেরিসা মে জানিয়েছেন, ব্রিটেনে বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে ট্যুরিষ্ট ভিসায় আসা লোকজন তাদের ব্যবসায়ীক মিটিং ও অন্যান্য কাজ যাতে করতে পারেন, সে সুযোগ দেওয়ার কথা ভাবছে সরকার।
বর্তমানে ফরেন-বিজনেস-ট্রাভেলার্স, কিংবা পারফর্মিং আর্টিস্টদের জন্য বৃটেনে আসতে বিভিন্ন ক্যাটগরির ১৫টি ভিসা সিষ্টেম চালু রয়েছে। যা আবেদনের ক্ষেত্রে জটিলতা সৃস্টি করে বলে জানান ব্যবসায়ী নেতারা। তাই এ জটিলতা দূর করতে ১৫টি ক্যাটগরিকে ৪টি ক্যাটাগরির মধ্যে নিয়ে আসার চিন্তা করা হচ্ছে বলে জানান হোম সেক্রেটারী। তবে কখন এবং কিভাবে এই পদ্ধতি চালু হবে তা নিয়ে সুনির্দিস্ট কিছু উল্যেখ না করায়, বিষয়টি নিয়ে সংশয়ও প্রকাশ করেছেন অনেকে।
এদিকে ইমিগ্রেশন মিনষ্টার জেম্স ব্রোকেন শায়ার হাউজ অব কমন্সের এক অধিবেশনে জানান, ব্রিটিশ নাগরিকদের নন-ইইউ স্পাউস নিয়ে আসার জন্য ১৮হাজার ৬শ পাউন্ড আয় দেখানোর বাধ্য বাধকতা থাকলেও ইউরোপীয়ান নাগকিরদের বেলায় সে নিয়ম কার্যকর নয়। এতে বৃটিশ নাগকিরা অবিচারের শিকার হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
নির্বাচনের আগে, ক্ষমতাসীন সরকারের ইমিগ্র্যান্ট বান্ধব বক্তব্য কি নির্বাচনী প্রচারনার অংশ। নাকি সত্যিই ভাগ্য পরিবর্তন হতে যাচ্ছে বৃটেনের ইমিগ্র্যান্টদের তা জানতে হয়তো আরো কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে।