সব জবসেন্টারে চালু হচ্ছে ইউনিভার্সেল ক্রেডিট
পাইলট প্রজেক্ট হিসাবে ইউনিভার্সেল ক্রেডিটের বাস্তবায়নের পরিধি সোমবার থেকে আরো এক ধাপ বাড়ছে। কোয়ালিশন সরকার ক্ষমতায় আসার পর বেনিফিট সিস্টেমে পরিবর্তন এনে হাউসিং বেনিফিট জব সিকার এলাউন্স এবং টেক্স ক্রেডিটসহ ৬টি পৃথক পৃথক বেনিফিটকে একত্র করে ইউনিভার্সেল ক্রেডিট নামে নতুন বেনিফিট প্রবর্তন করেছিলো। প্রাথমিক অবস্থায় সিঙ্গেল এপ্লিক্যান্টরা ইউনিভার্সেল ক্রেডিটের আওতায় আসছেন। ইউনিভার্সেল মাসে একবার পরিশোধ করা হয়। ইউনিভার্সেল ক্রেডিট সিস্টেমের মাধ্যমে অর্থ সঞ্চয়ের পাশাপাশি বেকারদের কাজের প্রতি আগ্রহী করে তোলা সম্ভব বলেও ধারণা ছিলো সরকারের। সেই ধারনা কার্যত বাস্তবে পরিণত হয়েছে বলেও জানালেন ওয়ার্ক এন্ড পেনশন সেক্রেটারী ইয়ান ডানকান স্মীথ এমপি।
প্রাথমিক অবস্থায় ইউনিভার্সেল ক্রেডিট পাইলট প্রজেক্ট হিসাবে দেশের ৯৬টি জব সেন্টারে চালু হয়েছিলো। আগামী ২ মাসের মধ্যে দেশের আরো ১শ ৫০টি জব সেন্টারে তা চালু হবে। তবে বাস্তবায়িত হবে শুধুমাত্র সিঙ্গেল আবেদনকারীদের ক্ষেত্রে। দম্পতি বা বড় পরিবারের ক্ষেত্রে তা আরো দেরিতে চালু করা হবে। আগামী বছর এমন সময় ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড এন্ড ওয়েলসের সব জবসেন্টারে চালু করা হবে ইউনিভার্সেল ক্রেডিট। আর তখনও শুধু সহজ কেইসগুলো ডিল করা হবে। আর কঠিন কেইসগুলোর জন্য ধীরে ধীরে তৈরী করা হবে সিস্টেমকে। ইউনির্ভার্সেল ক্রেডিট বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে ধীর গতির কারণে আইটি সিস্টেমের বাড়তি ব্যয়ের সমালোচনা করেছে লেবার।
টোরি সরকারের ব্যয় সংকোচন নীতির মধ্যে বেনিফিট সিস্টেমের পরিবর্তন ছিলো বড় একটি পদক্ষেপ। এর মাধ্যমে ওয়েলফেয়ার সেক্টরে কয়েক বিলিয়ন পাউন্ড সঞ্চয় করা সম্ভব বলে মনে করছে সরকার। এ জন্য ধীরগতিতে হলেও ইউনিভার্সেল ক্রেডিট সিস্টেম সঠিকভাবে এগুচ্ছে কী না, সেদিকেই গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার।