অর্থনীতিতে অস্ট্রেলিয়া-মালয়েশিয়াকে ছাড়াবে বাংলাদেশ !
ক্রয়ক্ষমতার সক্ষমতা (পিপিপি) বিচারে আগামী ২০৫০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে বিশ্বের ২৩তম বড় অর্থনীতির দেশ। যুক্তরাজ্যভিত্তিক বহুজাতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান প্রাইসওয়াটারহাউসকুপারসের (পিডব্লিউসি) বৈশ্বিক প্রতিবেদনে এমন আশাবাদের কথাই বলা হয়েছে।
পিডব্লিউসির সম্প্রতি প্রকাশিত ‘২০৫০ সালে বিশ্ব অর্থনীতি’ শীর্ষক এ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ২০৫০ সালের মধ্যে অস্ট্রেলিয়া ও মালয়েশিয়ার মতো উন্নত ও অগ্রসর অর্থনীতির দেশগুলোকে ছাড়িয়ে যাবে।
প্রতিবেদনে বাংলাদেশের এ উত্থান-সম্ভাবনার কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, পিপিপি সক্ষমতার ভিত্তিতে এ দেশের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) ২০১৪ সালে ছিল ৫৩ হাজার ৬০০ কোটি মার্কিন ডলার; যা ২০৩০ সালে দ্বিগুণ হয়ে ১ লাখ ২৯ হাজার ১০০ কোটি ডলারে পৌঁছাবে। আর ২০৫০ সালে তা আরও বেড়ে ৩ লাখ ৩৬ হাজার ৭০০ কোটি মার্কিন ডলারে উন্নীত হবে।
পিডব্লিউসির এ প্রতিবেদন বিভিন্ন দেশের দীর্ঘমেয়াদি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বিষয়ক প্রতিবেদনের সাম্প্রতিক সংস্করণ। ২০০৬ সালে প্রতিষ্ঠানটি প্রথম দেশভিত্তিক প্রতিবেদন প্রকাশ করে, যেখানে জিডিপির ভিত্তিতে বৃহৎ অর্থনীতির ১৭টি দেশের উঠে আসার কথা বলা হয়েছিল।
সর্বশেষ প্রতিবেদনটিতে ৩২টি দেশের অর্থনৈতিক সম্ভাবনা তুলে ধরা হয়েছে; যেখানে বাংলাদেশসহ নতুন আটটি দেশ রয়েছে। বাকি সাতটি দেশ হলো— কম্বোডিয়া, মিসর, ইরান, নেদারল্যান্ডস, পাকিস্তান, ফিলিপাইন ও থাইল্যান্ড।
পিডব্লিউসির অন্য প্রতিবেদনগুলো প্রকাশিত হয় ২০০৮ সালের মার্চে, ২০১১ সালের জানুয়ারিতে ও ২০১৩ সালের জানুয়ারিতে।
পিডব্লিউসির নতুন প্রতিবেদনে থাকা ৩২টি দেশের অর্থনীতি মোট বৈশ্বিক জিডিপির ৮৪ শতাংশের সমান।
২০১৩ সালের প্রতিবেদনে ২৪টি বৃহৎ অর্থনীতির দখলে ছিল মোট বিশ্ব জিডিপির ৮০ শতাংশ। প্রতিবেদনের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০৩৫ এবং ২০৫০ সালেও বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতি হিসেবে নিজের শীর্ষস্থান ধরে রাখবে চীন।
তবে ২০৫০ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়িয়ে বিশ্বের দ্বিতীয় অর্থনীতি হিসেবে উঠে আসবে ভারত। তখন যুক্তরাষ্ট্র তৃতীয় স্থানে নেমে যাবে। আর ইন্দোনেশিয়া চতুর্থ ও ব্রাজিল পঞ্চম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ হবে।
প্রতিবেদনে চারটি বিষয়ে অধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এগুলো হলো— কর্মক্ষম মানুষের সংখ্যা, মানবসম্পদের সক্ষমতা বৃদ্ধি, কায়িক পরিশ্রমের প্রবৃদ্ধি ও উৎপাদন অনুষঙ্গসমূহ।
উন্নয়নশীল দেশগুলোর অর্থনীতিতে প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই উন্নত দেশগুলোর চেয়ে বেশি হবে বলেও পূর্বাভাস দিয়েছে পিডব্লিউসি।