লেবার পার্টির মনোনয়ন পেলেন বাঙালী মেরিনা

Marinaব্রিটেনের আগামী সাধারণ নির্বাচনে লন্ডনের বেকেনহাম আসন থেকে লেবার পার্টির মনোনয়ন পেয়েছেন আরেক বাঙালী কন্যা মেরিনা মাসুমা আহমেদ। পার্টির মোট ৪ জন প্রভাবশালী সদস্যের সঙ্গে প্রতিদ্বন্ধিতা করে করে তিনি এই আসনে নির্বাচন করার টিকিট লাভ করলেন। এই আসনে বর্তমানে এমপি হিসাবে আছেন ক্ষমতাসিন কনজারভেটিভ পার্টি। শতভাগ বৃটিশ অধু্যষিত আসন হলেও নির্বাচনে মেরিনা জয়লাভ করবেন বলে আশাবাদী। বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত এই ব্রিটিশ নাগরিক দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে লেবার পার্টির হয়ে এই আসনে কাজ করছেন।  গত ১৬ ডিসেম্বর তার প্রার্থীতা নিশ্চিত হয়। আগামী ৭ মে বৃটেনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
এবারের যুক্তরাস্ট্রের নির্বাচনে তিনটি প্রধান রাজনৈতিক দল থেকে সাত বাংলাদেশি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে যাচ্ছেন। এদের মধ্যে পাঁচজন লেবার পার্টি থেকে। একজন কনজারভেটিভ এবং একজন লিবারেল ডেমোক্রেটিস (লিব ডেম) পার্টি থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন। লেবার পার্টির থেকে মনোনয়ন পাওয়া পাঁচজনের মধ্যে চারজনই নারী, এর মধ্যে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে প্রথম বাংলাদেশি রুশনারা আলী এবং বঙ্গবন্ধুর নাতনী শেখ রেহানার মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিকও রয়েছেন। বর্তমান বিরোধী দল লেবার পার্টি থেকে মনোনয়ন পাওয়া অন্যরা হলেন- রুপা হক এবং আনওয়ার বাবুল মিয়া। ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টি থেকে লন্ডনের বার্কিংহাম আসন থেকে প্রার্থী হয়েছেন মিনা রহমান এবং লিব ডেম থেকে নর্দাম্পটন সাউথ আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন প্রিন্স সাদিক চৌধুরী।
যুক্তরাজ্যে  ক্ষমতাসীন দলের শক্তিশালী ঘাটি হিসাবে পরিচিত বেকেনহাম আসন থেকে মনোনয়ন পেলেও জয়লাভের ব্যাপারে ব্যাপক আত্মবিশ্বাসী মেরিনা। কারণ হিসাবে তিনি বলেন, গত ৫ বছরে ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টি বেকেনহামের উন্নয়নে কিছুই করেনি।
উল্টো ধ্বংস করে দিয়েছে পুরো বৃটেনের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা। বেকারত্বের হার বেড়েছে। তরুণদের জন্য বৃটেনে এখন ভয়াবহ দৃ:সময় চলছে। পুরো পাবলিক সার্ভিসটাই ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে।
মেরিনা গত ৩০ বছর ধরে লেবার পার্টির সদস্য। নারায়নগঞ্জে জন্ম নেয়া মেরিনা আহমদ মা-বাবার সঙ্গে ৬ মাস বয়সে যুক্তরাজ্যে আসেন। মেরিনা পাবনার কৃতি সন্তান ডা. ইমরুল কায়েসকে বিয়ে করেন। এই দম্পত্তির রেবেকা (১৫) এবং এলিজা (৬) নামে দুটি কন্যা সন্তান রয়েছে।
তরুণ রাজনীতিবিদদের মধ্যে প্রভাবশালী মেরিনা ইউনিভার্সিটি অফ সারে থেকে ইংরেজি ও ইতিহাসে স্নাতক, সিটি ইউনিভার্সিটি থেকে আইনে স্নাতকোত্তর ডিপ্লোমা নেন। তিনি অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এবং বর্তমানে সরকারের মন্ত্রীদের সঙ্গে কেবিনেট অফিসে কাজ করছেন। ১৯৮০ সালে তিনি বৃটিশ এয়ারওয়েজে স্বেচ্চাসেবক হিসাবে কাজ করেছেন। তিনি একটি স্কুলের প্যারেন্ট গভর্নর এবং তার নিজ আসনের বিভিন্ন সমাজসেবামূলক কর্মকাণ্ডে যুক্ত।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button