৩ মুসলিম শিক্ষার্থীর স্মরণে মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়ে শোক মিছিল
গত সপ্তাহে আমেরিকার নর্থ ক্যারোলিনা বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডের শিকার তিন মার্কিন মুসলিম শিক্ষার্থীদের প্রতি শ্রদ্ধা ও শোক জানিয়েছেন নেব্রাসকা ওমাহা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং সামাজিক সংগঠনের কর্মীরা।
সংহতি জানাতে আসা লোকজন সোমবার রাতে নেব্রাসকা ওমাহা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে জড়ো হন। নিহতদেরকে যে অত্যন্ত ঠাণ্ডা মাথায় খুন করা হয়েছে তা দেখানোর জন্য তারা নিহতদের ছবি পোস্টারে ছাপিয়ে ও মোমবাতি হাতে ক্যাম্পাসের সামনে অবস্থান করেন।
দিয়াহ শ্যাডি বারাকাত ও তার স্ত্রী ইউসোর মোহাম্মদ আবু-সালহা এবং তার বোন রাজান মোহাম্মদ আবু-সালহা গত ১০ ফেব্রুয়ারী নর্থ ক্যারোলিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে অবস্থিত চ্যাপেল হিল ক্যাম্পাসের একটি অ্যাপার্টমেন্টে ক্রেইগ হিগ নামে এক বন্দুকধারীর হাতে নিহত হন।
এরই মধ্যে একটি গ্রান্ড জুরি সোমবার ক্রেইগের বিরুদ্ধে সরাসরি খুনের অভিযোগ গঠন করেছে। আগামী ৪ মার্চ তাকে আদালতে হাজির করার কথা রয়েছে।
সোমবারের শোকসভার আয়োজনকারী বাসমা বাসমা বলেছেন, তিনি নিজ থেকেই এই ধরণের অনুষ্ঠান আয়োজন করার উদ্যেগ নিয়েছেন। কারণ, তিনি মনে করেন এই মর্মান্তিক ঘটনা সঠিকভাবে মানুষের সামনে তুলে ধরা হয় নি।
বাসমা আরো বলেন, ‘আমি আর বসে থাকতে পারিনি। আমি মনে করেছি, মার্কিন সমাজে পরিবর্তন আনার জন্য একটা কিছু করতে হবে। কারণ ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকার আমাদের সবারই আছে’।
তিনি আরো বলেন, ‘যখন আমি শুনলাম এই বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডের শিকার তিন মুসলমান তখন এটি আমাকে কঠিনভাবে নাড়া দেয় এবং আমি চরমভাবে মর্মাহত হই। আমি একজন মার্কিন মুসলিম এবং আমি আমার সারা জীবন এখানেই কাটিয়েছি।’
লাইলা আল- রেফাই নামে আরেক আয়োজক বলেন, সারা বিশ্বের মানুষের জন্য আমার বার্তা হচ্ছে ‘সবারই বাঁচার অধিকার আছে’। সারা বিশ্বের মুসলমানরা এই হত্যাকাণ্ডে ক্ষুব্ধ হয়েছেন এবং হত্যাকারীকে উপযুক্ত শাস্তি দেয়ার জন্য মার্কিন সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।