বিশ্বে প্রথম শিশুদের জন্য ‘জাতীয় সিএসআর নীতি’ হচ্ছে বাংলাদেশে
শিশুদের জন্য ‘জাতীয় সিএসআর (ব্যবসায় সামাজিক দায়বদ্ধতা) নীতি’ প্রণয়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ বিশ্বের প্রথম দেশ হতে যাচ্ছে। আন্তর্জাতিক সংস্থা সেভ দ্য চিলড্রেনের কারিগরি সহায়তায় শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে এ নীতির খসড়া প্রস্তুত করেছে।
বৃহস্পতিবার গুলশানের আমারি হোটেলে এ নীতিবিষয়ক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মো. মুজিবুল হক জানিয়েছেন, নীতির পর শিশুদের জন্য জাতীয় সিএসআর সম্পর্কিত একটি আইনও করবে সরকার।
খসড়া নীতিকে একটি চূড়ান্ত খসড়ায় রূপদানের লক্ষে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং সেভ দ্য চিলড্রেন এ সেমিনারের আয়োজন করে, যেখানে জাতীয় পর্যায়ের অংশীজনের সঙ্গে খসড়া নীতিটি নিয়ে আলোচনা হয়। শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মিকাইল শিপারের সভাপতিত্বে ও সিএসআর সেন্টারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শাহামিন এস জামানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সেভ দ্য চিলড্রেনের কান্ট্রি ডিরেক্টর মি. মাইকেল ম্যাকগ্রাথ, ইউরোপীয় ইউনিয়নের মানব ও সামাজিক উন্নয়ন বিভাগের শিক্ষা উপদেষ্টা লায়লা বাকি, বাংলাদেশ শিশু অধিকার ফোরামের চেয়ারপারসন এমরানুল হক চৌধুরী, ন্যাশনাল কো-অর্ডিনেশন কমিটি ফর ওয়ার্কার্স এডুকেশন (এনসিসিডাব্লিউই) সদস্য সচিব মো. মজিবুর রহমান ভুঁইয়া, বাংলাদেশ এমপ্লইয়ার ফেডারেশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট সাবরিনা ইসলাম এবং গণস্বাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধূরী। এতে স্বাগত বক্তব্য দেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব মো. ফাইজুর রহমান। সেভ দ্য চিলড্রেনের এডুকেশন ফর ইয়ুথ এমপাওয়ারমেন্ট (আই) প্রকল্পের পরিচালক শাহিদা বেগম অনুষ্ঠানে ‘শিশুদের জন্য জাতীয় ব্যবসায় সামাজিক দায়বদ্ধতা নীতির’ খসড়া উপস্থাপন করেন।
শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, রাতারাতি বাংলাদেশ থেকে শিশুশ্রম দূর করা যাবে না। এর জন্য নাগরিকদের সচেতন হতে হবে এবং সকল অংশীজনের একসঙ্গে কাজ করতে হবে বলে তিনি মনে করেন।
তিনি আরো বলেন, ভোটের রাজনীতিতে ভালো মানুষের দাম নেই। লোকে কেবল ধানের শীষ আর নৌকা মার্কা দেখে ভোট দেয়। তাইতো ড. কামাল হোসেনের মতো লোকেরা জামানত হারান।
সেমিনারে জানানো হয়, ২০১৪ সালের ১৭ জুলাই থেকে বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় খসড়াকৃত এ নীতির প্রধান উদ্দেশ্যগুলো হলো শিশু-কিশোরদের সার্বিক কল্যাণ নিশ্চিত করা, তাদের দীর্ঘমেয়াদী ও টেকসই উন্নয়নের জন্য সামাজিক দায়বদ্ধতাকে উৎসাহিত করা, প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক উভয় ক্ষেত্রে শিশু-কিশোরদের জন্য একই মানের সামাজিক দায়বদ্ধতা কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা এবং বর্তমানে ভিন্ন ভিন্নভাবে চলমান সামাজিক দায়বদ্ধতা কার্যক্রম সমন্বিত করা।
সরকার বলছে, এ নীতি পণ্য উৎপাদন, বিপণন, প্রচারণা ও সার্বিক ব্যবস্থাপনায় শিশু-কিশোরদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করবে এবং দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশী ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের বৃহত্তর ব্যবসায়িক সুনাম ও গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি পাবে।