কায়রো অভিযানে আলোচিত বুলডোজার ও গুলীবিদ্ধ কিশোর
একটি ছবি লাখো শব্দের চেয়েও শক্তিশালী। এমনই একটি ছবি প্রকাশ করেছে এএফপি। গত বুধবার ব্রাদারহুড ও মুরসি-সমর্থকদের ওপর চালানো গণহত্যা কী ভয়াবহ ছিল তা প্রকাশ পেয়েছে ওই ছবিতে।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে গুরুত্বের সঙ্গে প্রচার করা হয় ছবিটি। ডেইলি মেইল, ওয়াশিংটন পোস্ট, এএফপি, আলজাজিরাসহ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম কায়রো অভিযানের ভয়াবহতা তুলে ধরে এই ছবিটি প্রকাশ করে। ফেসবুক, টুইটারসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতেও ছবিটি শেয়ারের হিড়িক পড়ে। ছবিটি দ্রুত জায়গা করে নেয় বিভিন্ন ফটোগ্রাফি ওয়েবসাইটে।
ছবিটিতে দেখা যায়, মাটিতে পড়ে আছে গুলীবিদ্ধ এক কিশোর বিক্ষোভকারী। সব কিছু ঠেলে নিয়ে তার দিকে এগিয়ে আসছে একটি সামরিক বুলডোজার।
আর বুলডোজার ও কিশোরের মাঝখানে দাঁড়িয়ে এক নারী মুরসি-সমর্থক বুলডোজারটি থামাতে ইশারা করছেন। আরও এগিয়ে এলেই যে বুলডোজারের ঠেলে আনা বস্তার নিচে চাপা পড়বে ওই রক্তাক্ত কিশোর।
বিক্ষোভকারীদের তাঁবু, ব্যারিকেড ও অভিযানে নিহত মুরসি-সমর্থকদের লাশ ঠেলে সরিয়ে দিতেই এই দানবাকৃতির বুলডোজার ব্যবহার করা হয়েছিল।
বুলডোজার রাস্তা পরিষ্কার করতেই সেখানে হাজির হয় সাঁজোয়া গাড়ি। এরপর সাঁজোয়া গাড়ি থেকে চালানো হয় গুলী। ছোড়া হয় গ্রেনেড।
এভাবেই বুধবার মিশরের ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসির আন্দোলনরত সমর্থকদের বিরুদ্ধে গণহত্যা চালায় সেনাবাহিনী। এতে পাঁচ শর বেশি মানুষ নিহত হয়। এর আগে ১৯৮৯ সালে জেফ ওয়াইডনারের একটি ছবি বিশ্বজুড়ে তুমুল আলোচিত হয়। যেখানে দেখা যায় চীনে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ চলাকালে তিয়েনআনমেন স্কয়ারে ট্যাংক বহরের সামনে বুক পেতে দিয়েছে এক বিক্ষোভকারী।