আল-আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণে শিশুদের স্নোবল ছোড়াছুড়ি
ইসরাইল, জর্দান ও লেবাননের অধিকাংশ এলাকা শুক্রবার ভোরে তুষারের চাদরে ঢেকে যায়। রাস্তাঘাট বরফের কারণে চলাচলের অনুপযুক্ত হওয়ায় দেশগুলোর অনেক নাগরিককে তাদের ঘরে অবস্থান করতে বলা হয়।
পবিত্র নগরী জেরুজালেমে প্রায় ২৫ সেন্টিমিটার তুষারপাত হয়েছে এদিন। এটি এবারের শীতে দ্বিতীয় বড় তুষারপাতের ঘটনা। শুক্রবার স্কুল বন্ধ ছিল এবং শহরের বাসসার্ভিস সীমিত হয়ে পড়ে। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৭৯৫ মিটার উঁচু নগরী জেরুজালেমে প্রবেশের প্রধান দুই মহাসড়কের দুটি দিকই বেশকয়েক ঘণ্টা বন্ধ ছিল। তবে দুপুরের দিকে তা খুলে দেয়া হয় বলে জানায় পুলিশ। এর আগে রাস্তায় জরুরি যানবাহন ছাড়া অল্পকিছু প্রাইভেটকার দেখা যায়। ঐতিহাসিক আল-আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণও তুষারে ঢেকে যায়। ফিলিস্তিনের শিশুরু এদিন মসজিদ প্রাঙ্গণে স্নোবল ছোড়াছুড়ি করে।
দখলকৃত পশ্চিম তীরের অধিকাংশ এলাকাও তুষারে ঢেকে যায়। ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ মানুষকে গাড়ি চালানোর ব্যাপারে সতর্ক করে এবং খুবই জরুরি প্রয়োজন না হলে ঘরে থাকতে বলে। ইসরাইলের আবহাওয়া অফিস জানায়, দেশটির দক্ষিণাঞ্চল নিজেভ মরভূমিতেও তুষারপাত হয়েছে, যা খুবই বিরল। এর আগে ১৯২০ সালে জেরুজালেমে এক মিটার তুষারপাতের পর ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে বড় ধরনের তুষারপাতের ঘটনা ঘটে। এতে ইসরাইল ও পশ্চিম তীরজুড়ে রাস্তাঘাট যান চলাচলের জন্য অনুপযোগী হয়ে পড়ে। তুষারপাতের পর সেনাবাহিনী তুলনামূলক কম প্রবেশযোগ্য এলাকায় সাধারণ নাগরিকদের সহায়তা করার জন্য ট্রাক মোতায়েন করে। ইসরাইলের পার্শ্ববর্তী দেশ জর্দানের রাজধানী আম্মানসহ অনেক অঞ্চলের রাস্তাঘাট তুষারপাতে যান চলাচলের জন্য অনুপযোগী হয়ে পড়ে। দেশটির কর্তৃপক্ষ তাদের নাগরিকদের ঘরের বাইরে যাওয়ার ব্যাপারে সতর্ক করে দেয়। লেবাননেও ব্যাপক তুষারপাত হয়েছে। এতে দেশটির স্কুল বন্ধ হয়ে যায়। লেবাননের আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা ওয়াসিম আবু হাশফিহ বলেন, ‘সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ২০০ মিটার উঁচু বৈরুত নগরীতে ব্যাপক শিলাবৃষ্টি ও তুষারপাত হয়েছে।’