ভাষা শহীদদের প্রতি প্রেসিডেন্ট প্রধানমন্ত্রী ও সর্বস্তরের জনগণের শ্রদ্ধা
প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একুশের প্রথম প্রহরে জাতির পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন। রাত ১২টা ১টি মিনিটে প্রথমে প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ এবং পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর পর জাতীয় সংসদের পক্ষে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। একুশের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন বাংলাদেশ সফররত যুক্তরাজ্যের হাউস অব লর্ডস-এর স্পিকার ব্যারোনেস ডি সুজা।
এর পর ভারতের বাঙালিদের পক্ষ থেকে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে শহীদ মিনারের পাদদেশে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ সময় তার সঙ্গে সফর সঙ্গীরাও ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার মন্ত্রিসভার সদস্য, উপদেষ্টা ও সংসদ সদস্যদের নিয়েও শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
এর পর আওয়ামী লীগসহ ১৪ দলের নেতৃবৃন্দ শহীদ মিনারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন।
১৪ দলের পর বিরোধীদলীয় নেত্রী বেগম রওশন এরশাদ দলীয় নেতাদের নিয়ে শহীদ মিনারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। বিরোধীদলীয় নেত্রীর পর তিন বাহিনীর প্রধানগণ পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্যদিয়ে একুশের ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। পরে পর্যায়ক্রমে কূটনীতিকবৃন্দ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ও শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করা হয়।
এর পরই বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সহযোগী সংগঠন, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ছাত্র, যুব, শ্রমিক, কৃষক সংগঠনের নেতাকর্মীসহ সর্বস্তরের মানুষ একে একে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে শুরু করেন।