প্রধানমন্ত্রীর সাথে হাউজ অব লর্ডস’র স্পিকারের সাক্ষাৎ

PMযুক্তরাজ্যের হাউস অব লর্ডসের সফররত স্পিকার ব্যারোনেস ডি সৌজা বাংলাদেশের আরো উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির জন্য গণতন্ত্র ও শান্তি অব্যাহত থাকবে বলে তার দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, বাংলাদেশের আরো উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির জন্য গণতন্ত্র ও শান্তি অব্যাহত থাকবে। আমি আরো আশা করি, বাংলাদেশ তার লক্ষ্য অনুযায়ী ২০২১ সালের মধ্যে একটি মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবে।’
তিনি শনিবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে তাঁর সঙ্গে এক সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এসে এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব এ কে এম শামীম চৌধুরী সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। তিনি বলেন, দুই নেতা অন্যান্য বিষয়ের পাশাপাশি গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা করেন।
কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি ইউনিয়ন (সিপিইউ) ও ইন্টার পার্লামেন্টারি এসোসিয়েশনে (আইপিএ) বাংলাদেশ নির্বাচিত হওয়ায় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান ডি’ সৌজা।
তিনি বলেন, আমি আশা করি বাংলাদেশ সিপিইউ ও আইপিএ-তে বড় ধরনের ভূমিকা রাখবে এবং এর নেতৃত্বে বিশ্বজুড়ে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় আরো শক্তিশালী হবে।
এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, তিনি সব সময় সারা বিশ্বে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার প্রতি সমর্থন দানকারী প্রতিষ্ঠান কমনওয়েলথের প্রশংসা করেন।
প্রধানমন্ত্রী হাউস অব লর্ডসের স্পিকারকে গত ৬ বছরে বাংলাদেশে সম্পন্ন হওয়া অভূতপূর্ব উন্নয়ন সম্পর্কে অবহিত করেন।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ বর্ধিত জিডিপি প্রবৃদ্ধি, কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়ন এবং মূল্যস্ফীতি ও দারিদ্র্যের হার হ্রাসসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিস্ময়কর সাফল্য অর্জন করেছে।’
ডি’ সুজা বাংলাদেশে বিনিয়োগ পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চাইলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের বর্তমান বিনিয়োগ নীতি আকর্ষণীয় এবং দেশে বর্তমানে এক অনন্য বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ বিরাজ করছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা দেশে আরো ২০টি বিনিয়োগ প্রক্রিয়াকরণ এলাকা (ইপিজেড) স্থাপনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি এবং আশা করি এ সব ইপিজেডে আরো বেশি বৈদেশিক বিনিয়োগ আসবে।’
হাউস অব লর্ডসের স্পিকার বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন বিস্ময়কর এবং দেশটি সকল ক্ষেত্রে অসাধারণ অগ্রগতি অর্জন করেছে।
ডিজিটালাইজেশন এবং দেশজুড়ে ইউনিয়ন পর্যায়ে ডিজিটাল সেন্টার স্থাপনের ব্যাপক প্রশংসা করে তিনি বলেন, দেশটিতে আইসিটি খাতের অর্জনও বিশাল।
এছাড়া ডি’ সৌজা নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশের সফলতার উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করে বলেন, প্রধানমন্ত্রী, পার্লামেন্টের উপনেতা, বিরোধীদলীয় নেতা এবং পার্লামেন্টের উপনেতা সকলেই নারী।
দ্য হাউজ অব লর্ডসের স্পিকার আরো বলেন, তিনি বিশ্বাস করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নারীর উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নের প্রতীক। এছাড়া শেখ হাসিনা জনগণের জন্য কল্যাণমূলক কর্মসূচির সক্রিয় বাস্তবায়নকারীও।
ডি’ সৌজা একুশে ফেব্রয়ারির এ সময়ে বাংলাদেশ সফরে এসে তার আনন্দ প্রকাশ করে একে বিশ্ববাসীকে একীভূত করার চমৎকার দিবস হিসেবে উল্লেখ করেন।
অনুষ্ঠানে জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরিন শারমিন চৌধুরী, প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গহওর রিজভী, মুখ্য সচিব মো. আবুল কালাম আজাদ, বাংলাদেশে ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট গিবসন এবং প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব একেএম শামীম চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button