তথ্য সংরক্ষণ বিধি লঙ্ঘন করেছেন মার্কিন গোয়েন্দারা

US documentsযুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার (সিআইএ) সাবেক কর্মী এডওয়ার্ড স্নোডেনের ফাঁস করা তথ্য থেকে জানা গেছে, দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থার (এনএসএ) গোয়েন্দারা অসংখ্যবার ব্যক্তিগত তথ্য সংরক্ষণ বিধি লঙ্ঘন করেছেন।
‘দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট’-এ প্রকাশিত নথির বরাত দিয়ে বিবিসির এক প্রতিবেদনে আজ শুক্রবার বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দারা অননুমোদিত উপায়ে দেশটির নাগরিকদের ওপরে ইলেকট্রনিক গুপ্তচরবৃত্তি চালিয়েছেন।
গত জুনে স্নোডেন কয়েকটি ব্রিটিশ ও মার্কিন গণমাধ্যমের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের গোপন গুপ্তচরবৃত্তির নথিপত্র ফাঁস করে দেন। এরপর তিনি দেশ ছেড়ে রাশিয়ায় আশ্রয় নিয়েছেন।
ওয়াশিংটন পোস্ট’ গতকাল বৃহস্পতিবার যেসব নথি প্রকাশ করেছে, সেগুলো স্নোডেন মারফত মিলেছে বলে দাবি করেছে প্রভাবশালী মার্কিন দৈনিকটি।
‘ভুলজনিত কার্যক্রম’
নথিপত্রগুলোর মর্মার্থ হলো, গোয়েন্দারা প্রথমদিকে ভুল করে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী মার্কিন ও বিদেশি নাগরিকদের ফোনকল ও ই-মেইল রেকর্ড করতে শুরু করেন। পরে তা জারি রাখেন। এ কাজের জন্য গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে সাধারণত কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে যে ধরনের কার্যপ্রণালির ভেতর দিয়ে যেতে হয়, এ ক্ষেত্রে তা অনুসরণ করা হয়নি। এ কারণে দেশটির একটি গোপন গোয়েন্দা আদালত পরে গোয়েন্দাদের এ ধরনের কার্যক্রমকে অসাংবিধানিক ঘোষণা করেন।
মার্কিন কংগ্রেস, বিচার বিভাগ ও জাতীয় গোয়েন্দা দপ্তরের পরিচালককে এনএসএর কার্যক্রম সম্পর্কে যেসব তথ্য সরবরাহ করা হয়েছিল, তার চেয়ে অনেক বেশি মিলেছে ফাঁস করা নথিগুলোতে।
২০১২ সালের মে মাসের এক নিরীক্ষণ প্রতিবেদন বলছে, তার আগের ১২ মাসে মোট দুই হাজার ৭৭৬ বার অননুমোদিত উপায়ে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে।
বিবিসি বলছে, বিধি লঙ্ঘনের ঘটনা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে। ২০১১ সালের প্রথম তিন মাসে এ ধরনের ঘটনা ছিল ৫৪৬টি। অথচ ২০১২ সালে তা বেড়ে ৮৬৫টিতে দাঁড়িয়েছিল। তবে কী পরিমাণ মানুষ এ ধরনের অবৈধ গুপ্তচরবৃত্তির শিকার হয়েছেন, তার কোনো হিসাব মেলেনি।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button