নিখোঁজ ৩ ছাত্রী সিরিয়ায় গেছে প্রমান নেই

Shamimaবেথনালগ্রীণ একাডেমির নিখোঁজ ৩ ছাত্রী সিরিয়ায় ইসলামি স্টেইটের সঙ্গে যুদ্ধ করতে গেছেন বলে কোনো প্রমাণ নেই বলে দাবী করেছেন একাডেমির প্রিন্সিপাল। এছাড়া একাডেমির ভেতরে সোসাল মিডিয়া ব্যবহার কঠোর নজরদারীতে রাখা হয় বলেও জানান তিনি। অন্যদিকে পুলিশ নিখোঁজ তিন ছাত্রীর সন্ধ্যানে ব্যাপক তল্লাশি অব্যাহত রেখেছে। গত মঙ্গলবার ৩ ছাত্রী শামিমা বেগম, আমিরা আবাসী এবং খাদিজা সুলতানাকে গেটউইক এয়ারপোর্ট থেকে টার্কির উদ্দেশ্যে ফ্লাইট করে।
বেথনালগ্রীন একাডেমির প্রিন্সিপাল সোমবার এক প্রেস কনফারেন্সে বলেন, একাডেমির তিন ছাত্রী তাদের বাড়ি থেকে নিখোঁজ হওয়ায় তিনি মর্মাহত। ইন্টারনেটের মাধ্যমে রেডিকালাইজ হওয়ার অভিযোগ থাকলেও তিনি জোর দিয়ে বলেন, একাডেমির ভেতরে সোসাল মিডিয়ার ব্যবহারে কঠোরতা রয়েছে বলেও জানান তিনি।
এদিকে একাডেমির ছাত্রছাত্রিদের কাছে এবারের হাফ টার্মটি স্মরণীয় হয়ে থাকবে। হাফটার্মের ছুটির মধ্যেই একাডেমির ৩ ছাত্রী নিখোঁজ হয়েছেন। এ কমিউনিটিতে ইন্টারনেটের মাধ্যমে কেউ না কেউ ইয়ূথদের ইসলামিক স্টেইটে যোগ দেয়ার জন্য উৎসাহ দিচ্ছে বলেও মনে করা হচ্ছে। গেটউইক এয়ারপোর্ট থেকে মঙ্গলবার নিখোঁজ ৩ ছাত্রী ইমেইলে টেলিফোন বা টেক্স ম্যাসেজ কোনোভাবেই কারো সঙ্গে যোগাযোগ করছেন না। তবে সিরিয়া ফেরত স্কটিশ এক মহিলার সঙ্গে শামিমা বেগমের যোগাযোগ হয়েছিলো টুইটারের মাধ্যমে। স্কটিশ ওই মহিলা আইএসের রিক্রুটার হিসেবেই পরিচিত। এ থেকেই মূলত ধারনা করা হচ্ছে তারা টার্কি হয়ে সিরিয়া গেছেন। টার্কির সীমান্ত শহর আটাকালা। এ সীমান্ত পাড়ি দিয়েই সিরিয়ায় প্রবেশ করতে হয়। তবে সীমান্তে টার্কি সরকারের খুব কড়াকড়ি নেই বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাস ড্রাইভারসহ অন্যান্যরা। সীমান্ত পাড়ি দেবার সময় আইডি বা পাসপোর্ট চেক করা হয় না বলেও জানিয়েছেন তারা। এ সীমান্ত দিয়ে কোনো বৃটিশ নাগরিক পাড়ি দিয়েছেন বলেও কেউ নিশ্চিত করতে পারেনি।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button