বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠায় জাতিসংঘের সামনে বিক্ষোভ
বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার দাবিতে বিক্ষোভ-সমাবেশ করেছে নিউইয়র্কভিত্তিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন ‘অ্যাকশন ডেমোক্রেসি’।
সোমবার দুপুরে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরের সামনে এ কর্মসূচি পালিত হয়।
তীব্র ঠান্ডা উপেক্ষা করে বিপুলসংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশি এই বিক্ষোভ-সমাবেশে যোগ দেন। এসময় তারা বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি প্ল্যাকার্ড ও ফেস্টুনের মাধ্যমে তুলে ধরে জাতিসংঘ মহাসচিবসহ বিশ্বনেতাদের হস্ত্তক্ষেপ কামনা করেন।
‘অ্যাকশন ডেমোক্রেসি’র প্রধান নির্বাহী পরিচালক মিজানুর রহমান ভূঁইয়া মিল্টনের সভাপতিত্বে বিক্ষোভ-সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন সংগঠনের উপদেষ্টা মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, সৈয়দ আকিকুর রহমান ফারুক, লিয়াজোঁ কমিটির সদস্য রকিব উদ্দিন দুলাল, ওমর ফারুক, আকতার মাহমুদ, এম এস শফিক, মনিরুল ইসলাম খোকা, আহসান উল্লাহ বাচ্চু, আব্দুল কাদের, ডা. এম. শামীম, এমডি ইকবাল, আফসার চৌধুরী, কাজী আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ।
বিক্ষোভ সমাবেশে অ্যাকশন ডেমোক্রেসি’র প্রধান নির্বাহী পরিচালক মিজানুর রহমান ভূঁইয়া মিলটন বলেন, ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশে আজ গণতন্ত্র বিপন্ন। বর্তমান অনির্বাচিত সরকারের স্বৈরশাসনে বাংলাদেশের মানুষের মানবাধিকার ভূলুণ্ঠিত। প্রশাসনের নির্লিপ্ত পক্ষপাতিত্ব দেশকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিয়েছে।
তিনি বলেন, বিরোধী রাজনৈতিক কর্মকান্ড দমনের নামে সরকার বাংলাদেশে মানুষের বাক-স্বাধীনতাকে রুদ্ধ করে দিয়েছে।
বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার খাবার সরবরাহে বাধা দেয়ার নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রীর প্রতি এ ধরনের আচরণ মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন।
মিজানুর রহমান ভূঁইয়া মিল্টন বলেন, অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার। কিন্তু সরকারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সেই নিরীহ জনসাধারণকে বিনাবিচারে গুলি করে হত্যা করছে।
তিনি বলেন, সরকারের লোকেরাই পেট্রল বোমা মেরে নিরীহ মানুষ হত্যা করছে। অথচ বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে তাদের কারাগারে আটকে রাখছে। এসব ঘটনাই প্রমাণ করে বাংলাদেশে প্রকৃত অর্থে গণতন্ত্র নেই। তাই সাধারণ মানুষের মুক্তির লক্ষ্যে বাংলাদেশে গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনা এখন সময়ের দাবি।
সমাবেশে অন্যান্য বক্তারা অভিযোগ করেন, সরকারের স্বৈরাচারী কার্যকলাপ আন্তর্জাতিক মহলে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছে।
বর্তমান সরকারের পদত্যাগ চেয়ে অবিলম্বে দেশে মধ্যবর্তী নির্বাচন এবং গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠায় বিশ্ববাসীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন বক্তারা।