ব্রিটিশ সেনাবাহিনীতে পৃথক শিখ রেজিমেন্ট
বিশ্বযুদ্ধের সময় ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেমেছিলেন তারা। আজ সেই তাদের নিয়েই সেনাবাহিনীতে একটি পৃথক শাখা তৈরি করতে চলেছে ব্রিটিশ সরকার। ব্রিটিশ সেনা সূত্রের খবর, সেনাবাহিনীতে সংখ্যালঘুদের আরও বেশি সুযোগ দিতে শিখ ধর্মাবলম্বীদের নিয়ে আলাদা শাখা গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রী মার্ক ফ্র্যাঙ্কয়িস জানান, অতীতেও ব্রিটিশ সেনাবাহিনীতে শিখরা তাদের শৌর্য প্রমাণ করেছেন। তাই তাঁদের নিয়ে পৃথক রেজিমেন্ট তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
সরকারি সূত্রের খবর, আট বছর আগেই ব্রিটিশ সেনাবাহিনীতে শিখ রেজিমেন্টের কথা ভাবা হয়। কিন্তু বর্ণবৈষম্যের আশঙ্কায় তখন কার্যকর হয়নি তা। সম্প্রতি ব্রিটিশ পার্লামেন্টের কিছু সদস্য ফের প্রস্তাবটি তোলেন।
ব্রিটেনে এই মুহূর্তে বসবাসকারী পাঁচ লক্ষ শিখের সংগঠনের তরফে এক মুখপাত্র জানালেন, ২০০৭ সালেই তারা সেনা নিয়োগ দফতরে জানিয়েছিলেন, সেনার অভাব পূরণের জন্য তারা স্বেচ্ছায় সেনাবাহিনীতে নাম লেখাতে রাজি। তাদের সুযোগ দেয়া হলে অনায়াসে একটি নতুন রেজিমেন্ট গড়ে তুলতে পারেন। কারণ ব্রিটেনের অনেক শিখ পরিবারের পূর্বপুরুষেরাই প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে লড়াই
করেছিলেন। এই প্রস্তাব সমর্থন করে ব্রিটেনের প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রী স্যার নিকোলাস সোয়ামেস অন্য মন্ত্রীদের বলেছিলেন, রাজনৈতিক বিতর্ক এড়িয়ে ব্রিটিশ সেনাবাহিনীতে শিখদের পৃথক শাখা তৈরি করা যেতে পারে। তিনি এ-ও বলেছিলেন, “শিখদের অসমসাহসিকতা আমাদের বাহিনীর বড় সম্পদ হয়ে উঠতে পারে।”
স্বাধীনতার ৬৮ বছর পরে বিষয়টি নিয়ে ফের নতুন করে ভাবনাচিন্তা শুরু হওয়ায় এ বার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে শিখ রেজিমেন্টের। এ বার হয়তো ব্রিটিশদের সাবেক বিরোধী সেনারা তাদের দলের হয়েই যুদ্ধ করবেন।