২৩ বিলিয়ন ডলারের মাইলফলকে বাংলাদেশের রিজার্ভ

Bangladesh Bank Logoসহিংস রাজনীতির কারণে বাংলাদেশের অর্থনীতির ক্ষতির মধ্যেও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিদেশি মুদ্রার সঞ্চয়ন প্রথমবারের মতো দুই হাজার ৩০০ কোটি (২৩ বিলিয়ন) ডলার ছাড়িয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ফরেক্স রিজার্ভ অ্যান্ড ট্রেজারি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের মহাব্যবস্থাপক কাজী ছাইদুর রহমান জানান, রপ্তানি আয় ও প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্স প্রবাহ স্থিতিশলী থাকায় এই মইল ফলকে পৌঁছানো সম্ভব হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে তিনি বলেন, “রিজার্ভ আজ ২৩ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে। দিন শেষে রিজার্ভে কত জমা হলো তা বিকালে জানা যাবে।”
প্রতি মাসে ৩ বিলিয়ন ডলার আমদানি ব্যয় হিসেবে এই রিজার্ভ দিয়ে সাত মাসের বেশি সময়ের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব বলে জানান ছাইদুর।
বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবার রিজার্ভ ২২ বিলিয়ন ছাড়ায় গত বছরের ৭ অগাস্ট। আকুর বিল পরিশোধের পর তা কমে যায়।
কয়েক দফা ওঠানামার পর গত ২৮ জানুয়ারি রিজার্ভ আবরও ২২ বিলিয়ন ডলার ছাড়ালে গভর্নর আতিউর রহমান বলেছিলেন, “রাজনৈতিক অস্থিরতায় অর্থনীতির সব খাতই যখন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তখন রিজার্ভ ২২ বিলিয়ন ডলারের বেশি থাকা একটি স্বস্তির খবর।”
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, চলতি ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম ১৩ দিনে ৫৯ কোটি ৭৯ লাখ ডলারের রেমিটেন্স দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা।
আর ফেব্রুয়ারি মাসের আগ পর্যন্ত চলতি ২০১৪-১৫ অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে অর্থ্যাৎ জুলাই-জানুয়ারি সময়ে ৮৭২ কোটি ২০ লাখ ডলারের রেমিটেন্স এসেছে, যা গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৮ দশমিক ৬ শতাংশ বেশি।
কেবল রেমিটেন্স নয়, নাশকতার মধ্যে জাহাজিকরণ বাধাগ্রস্ত হওয়ার পরও এখন পর্যন্ত রপ্তানি আয়ের ইতিবাচক ধারা ধরে রাখা সম্ভব হয়েছে।
অর্থবছরের জুলাই-জানুয়ারি সময়ে রপ্তানি থেকে আয় হয়েছে এক হাজার ৭৮০ কোটি ডলার, যা গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ২ দশমিক ০৬ শতাংশ বেশি।
প্রাপ্ত তথ্য মতে, বাংলাদেশের এই রিজার্ভ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। প্রথম অবস্থানে থাকা ভারতের বর্তমান রিজার্ভ রয়েছে ৩১৩ বিলিয়ন ডলার। আর তৃতীয় অবস্থানে থাকা পাকিস্তানের রিজার্ভ রয়েছে ১৩শ’ কোটি ডলারের কিছু বেশি।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button