বাসে চড়ে তুরস্ক ছাড়ে সেই তিন ব্রিটিশ কিশোরী
আইএস-এ (ইসলামিক স্টেট) যোগ দেওয়া তিন ব্রিটিশ কিশোরী তুরস্কের ইস্তাম্বুল থেকে বাসে চড়ে সিরিয়া সীমান্তে যায় বলে জানা গেছে। সিসিটিভি ফুটেজে তাদের ইস্তাম্বুলের বাস স্টেশনে অবস্থান করতে দেখা গেছে।
সম্প্রতি শামীমা বেগম (১৫), খাদিজা সুলতানা (১৬) ও আমিরা অ্যাবেজ (১৫) নামে তিন স্কুলছাত্রী যুক্তরাজ্য থেকে সিরিয়া যাওয়ার উদ্দেশে তুরস্কে পৌঁছে। ১৭ ফেব্রুয়ারি তারা লন্ডনের গ্যাটউইক বিমানবন্দর থেকে ইস্তাম্বুলের উদ্দেশে রওয়ানা হয়। সর্বশেষ সিসিটিভি ফুটেজে তাদের ইস্তাম্বুলের বায়রামপাসা স্টেশনে বাসের জন্য অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। তারা সিরীয় সীমান্ত সংলগ্ন উরফা অঞ্চলে যাওয়ার জন্য দুটি পরিবহন কোম্পানির অফিসে বসে ছিল।
সিসি ক্যামেরায় তোলা পাঁচটি ইমেজে তাদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। সেগুলো ১৭ ফেব্রুয়ারি স্থানীয় সময় রাত ৮টা ২৭ মিনিট ও ১৮ ফেব্রুয়ারি দুপুর ১টা ২২ মিনিটে তোলা।
স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের ধারণা, বেথনাল গ্রিন অ্যাকাডেমির ওই তিন ছাত্রী বর্তমানে সিরিয়ায় অবস্থান করছে। সিরিয়া সীমান্ত থেকে আইএস সদস্যরা তাদের নিয়ে নিয়ে যায় বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ধারণা করা হচ্ছে, ইস্তাম্বুল থেকে বাসে চড়ার পরদিন তারা উরফা সীমান্তে পৌঁছায়। সেখান থেকে মানব পাচারকারীরা তাদের সীমান্ত পার করে সিরিয়ায় পৌঁছে দেয়।
বিভিন্ন সূত্রে বিবিসি জানতে পেরেছে, কিলিস বন্দর দিয়ে তারা সিরিয়ায় প্রবেশ করে। এক মানব পাচারকারী ওই স্কুলছাত্রীদের সিরিয়ায় পৌঁছানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আলী কাথেম নামে পরিচয় দানকারী ওই পাচারকারী জানায়, সীমান্ত দিয়ে পায়ে হেঁটে সিরিয়ায় প্রবেশ করে তারা। অপেক্ষারত আইএসের একদল সদস্য তাদের প্রাইভেটকারে উঠিয়ে নিয়ে যায়।
যুক্তরাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে দেশটির নাগরিক ওই তিন স্কুলছাত্রীর সফরের কথা প্রকাশ করা হয়েছিল। এর মধ্যে শামীমা ও খাদিজা নামে দুই কিশোরী বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত।