আইএসে যোগদান ঠেকাতে কঠোর হওয়ার ঘোষনা হোম সেক্রেটারীর
বেথনালগ্রীণ একাডেমীর নিখোঁজ ৩ ছাত্রী সিরিয়ায় অবস্থান করছেন বলে মোটামোটি নিশ্চিত হয়ে সরকার নতুন করে ভাবতে শুরু করেছে। নুতন করে আরো কোনো ব্রিটিশ নাগরিক যাতে আইএস যুদ্ধে অংশ নিতে সিরিয়ায় পাড়ি জমাতে না পারে সে বিষয়ে কঠোর হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন হোম সেক্রেটারী।
সোমবার এ ইস্যুটি নিয়ে কমন্সে কথা বলেছেন এমপিরা। শামিমা বেগম, খাদিজা সুলতানা এবং আমিরা আব্বাসি আপতত সিরিয়ায় আইএসের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন বলেই ধরে নেয়া হচ্ছে। তবে তারা কিভাবে সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে গেটউইক থেকে টার্কি হয়ে সিরিয়া গিয়ে পৌঁছালো সোমবার হাউস অব কমন্সে এ প্রশ্নটিই তুলেছেন এমপি কিথভাজ।
তিনি বলেন, লন্ডনের ৩ ছাত্রী নিখোঁজের তিন দিন পরে টার্কি পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে। যদিও মেট পুলিশের পক্ষ থেকে এ বিষয়টি অস্বীকার করা হয়। তিন ছাত্রী নিখোঁজ হওয়ার পরদিনই টার্কি পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে বলে দাবী করেছে মেট পুলিশের। ইস্তাম্বুল বাস স্টেশনের ফুটেজ রিলিজ করা হয় রোববার। সিরিয়ান বর্ডারের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হবার আগে ওই বাস স্টেশনে তারা প্রায় ১৮ ঘন্টা অবস্থান করছিলো। তারা গেটউইক এয়ারপোর্ট হয়ে ইস্তাম্বুল গেছেন। একই এয়ারপোর্ট হয়ে গত ডিসেম্বরে আরেক বৃটিশ তরুনী সিরিয়ায় আইএস যুদ্ধে অংশ নিয়েছেন। এ বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে ঘোষণা দিয়েছেন হোম সেক্রেটারী।
বেথনালগ্রীন একাডেমিতে আইএস সংশ্লিষ্ট কোনো সমস্যা নেই বলে একাডেমির পক্ষ থেকে দাবী করা হয়েছে। তারপরেও স্কুলের অন্য কোনো ছাত্র বা ছাত্রী শামিমা, খাদিজা এবং আমিরার পথ যাতে অনুসরণ না করে সে ব্যাপারে এখনই কিছু করা প্রয়োজন বলে মনে করছে শেডো হোম সেক্রেটারী। কিন্তু কি করা হবে? এ বিষয়ে হোম সেক্রেটারী সরাসরি কোনো পরিকল্পনার কথা বলেননি। প্রায় দুই সপ্তাহ হয়ে গেলো বেথনালগ্রীনের ৩ ছাত্রী লন্ডন ত্যাগের। তাদের ভাগ্যে কি আছে তা কারো জানা নেই। তাদের অনুসরণ করা থেকে অন্যদের বিরত রাখার মতো গুরুত্বপূর্ণ সরকারী পদক্ষেপটিও রয়ে গেলে অজানা।