ব্রিটেনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ইসলাম প্রচার নিষিদ্ধের পরিকল্পনা

Studentবিশ্বব্যাপী আইএসের বিস্তার ও জনপ্রিয়তা রোধে ব্রিটেনের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ইসলামী ভাষণের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ এবং ভাষকদের নিষিদ্ধ করার পরিকল্পনা নিয়েছে ব্রিটিশ সরকারের রক্ষণশীল অংশ। সম্প্রতি ব্রিটিশ নাগরিকদের ব্যাপকহারে আইএসে যোগদান এবং বিশ্বব্যাপী আইএসের আলোচিত চরিত্র জিহাদি জন নামে পরিচিত মোহাম্মদ এমওয়াজির ব্রিটিশ নাগরিকত্ব উন্মোচিত হওয়ায় রক্ষণশীলদের একটি জোট ইসলাম প্রচার নিষিদ্ধে একটি আইন পাশ করতে জোর দাবি তুলেছে।
তারা বলেছে, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কট্টরপন্থি ইসলাম প্রচারকদের নিষিদ্ধ না করা হলে তারা বড় ধরনের ক্ষতি সাধন করতে পারে।
ব্রিটেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তেরেসা মে বলেছেন, আমরা যে কারণে এই দাবি তুলেছি, যদি কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এখনো তার তাৎপর্য না বুঝে থাকে তবে এখন তা বোঝা উচিত। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মৌলবাদ ঠেকাতে আমাদের আরো পদক্ষেপ নিতে হবে। তবে বামপন্থিরা বলেছে, রাক্ষণশীলদের এই অংশটি এসব করে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পিত বিধিমালাকে দুর্বল করার চেষ্টা চালাচ্ছে। নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে মুক্তপ্রচারণা থামানো যাবে না। বরং তা আরও বৃদ্ধি পাবে।
ব্রিটেনের আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে মুসলিম সমাজের কট্টরতাকে দেশটির নিরাপত্তাহানির জন্য দায়ী করার বিষয়ে দুদলের বিতর্ক এখন নির্বাচন-পূর্ব বিতর্কের মূল প্রসঙ্গে পরিণত হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় সংক্রান্ত মন্ত্রী গ্রেগ ক্লার্ক বলেছেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে এবিষয়ে কঠিন আইন প্রণয়নের জোরাল দাবি উঠেছে। নতুন আইন প্রণয়নের স্বার্থে ইতিমধ্যেই ব্রিটেনের গোয়েন্দা ও নিরাপত্তা  কমিটি মৌলবাদ এবং নিরাপত্তা সংস্থার ক্ষমতা সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন তৈরী করেছে, যা আগামী ১২ মার্চ গোপনীয়তার সাথে প্রকাশিত হবে। দি গার্ডিয়ান।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button