প্রস্রাব থেকে বিদ্যুৎ
ব্রিটেনের ব্রিস্টলে অবস্থিত ইউনিভার্সিটি অব দ্য ওয়েস্ট অব ইংল্যান্ড পরীক্ষামূলকভাবে ইতিমধ্যেই প্রস্রাব থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করেছে।
ব্রিস্টলের বিশ্ববিদ্যালয়টিতে স্থাপন করা হয়েছে একটি বিশেষ প্রস্রাবখানা। এখানে জমা হওয়া মূত্র দিয়ে ঘরের ভেতরে বাতি জ্বালানোর উপযোগী বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক এবং দাতব্য সংগঠন অক্সফামের যৌথ প্রয়াসে এ নিয়ে একটি প্রকল্প চালু করা হয়েছে। অক্সফাম বলছে, এ প্রযুক্তি শরণার্থী শিবিরগুলোর জন্য বিশেষ কার্যকর হতে পারে।
মানুষের মূত্র থেকে যে ব্যবহার উপযোগী বিদ্যুৎ তৈরি করা সম্ভব, তা প্রমাণ করে দেখানোই এ উদ্যোগের উদ্দেশ্য। বিশ্ববিদ্যালয়টির ছাত্রছাত্রী ও কর্মীদের ওই প্রস্রাবখানা ব্যবহার করতে বলা হয়েছে। এতে সেখানকার অণুজীবনির্ভর জ্বালানি কোষ (এমএফসি) বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় মূল উপকরণ অর্থাৎ মূত্রের সরবরাহ পাবে।
দুর্যোগপীড়িত এলাকায় সাহায্য কর্মীরা এ প্রযুক্তির সুবিধা কাজে লাগাতে পারবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। প্রকল্পে যুক্ত গবেষক অধ্যাপক আইওয়ানিস ইয়েরোপুলোস বলেন, তাঁরা ইতিমধ্যে প্রমাণ করে দেখিয়েছেন, এ পদ্ধতিতে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব। অণুজীবগুলো বেঁচে থাকার জন্য মানুষের মূত্র গ্রহণ করে। এমএফসি প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে অণুজীবের বৃদ্ধির প্রক্রিয়ায় উৎপাদিত শক্তিটিকে সরাসরি বিদ্যুৎশক্তিতে রূপান্তর করা হয়েছে। জীবাশ্ম জ্বালানির প্রভাবমুক্ত এ বিদ্যুৎ পরিবেশবান্ধব। বেশি পরিমাণ বিদ্যুৎ সরবরাহের কাজেও এ প্রযুক্তি ব্যবহার করা যেতে পারে।
বিশ্বজুড়ে বছরে প্রায় ৬ দশমিক ৪ ট্রিলিয়ন লিটার মানবমূত্র উৎপাদিত হয়। তাই গবেষকদের আশা, বিদ্যুৎ উৎপাদনের এ অভিনব প্রযুক্তি অত্যন্ত ফলপ্রসূ হতে পারে।