রাঁধুনী কীর্তিমতী সম্মাননা পেলেন তিন কৃতী নারী
দেশকে এগিয়ে নিতে হলে সমতার সমাজ গড়তে হবে। দেশে এমন দিন আসুক, যখন আলাদা করে নারী দিবস পালন করতে হবে না। প্রতিটি দিন হবে নারী-পুরুষ সবার জন্য সমান। সবাই মানুষ হিসেবে সম্মান পাবে।
শনিবার রাজধানীর এক হোটেলে রাঁধুনী কীর্তিমতী সম্মাননা অনুষ্ঠানে বক্তারা এ প্রত্যাশার কথা বলেন। অনুষ্ঠানে তিন আপোসহীন নারীকে ‘রাধুনী কীর্তিমতী সম্মাননা ২০১৪’ প্রদান করা হয়।
সামাজিক বৈষম্য, দুর্নীতি, সন্ত্রাস, অনিয়ম নিয়ে অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের জন্য রাজশাহীর সাংবাদিক লাকমিনা জেসমিন সোমা পেয়েছেন সাংবাদিক সম্মাননা। সিরাজগঞ্জের প্রত্যন্ত গ্রামের দরিদ্র মানুষের জন্য নিজ উদ্যোগে হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার জন্য ফুলেয়ারা খাতুন পেয়েছেন হিতৈষী সম্মাননা। বান্দরবানে স্ট্রবেরি চাষের মাধ্যমে স্থানীয় আদিবাসীদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে মাসিংনু মারমা পেয়েছেন উদ্যোক্ততা সম্মাননা।
কীর্তিমতীদের হাতে সম্মাননা ক্রেস্ট ও চেক তুলে দেন প্রিপ ট্রাস্ট ঢাকার ডিরেক্টর (জেন্ডার অ্যান্ড গভর্নেন্স) মিসেস শিরিন বানু, দৈনিক ইত্তেফাকের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও পাক্ষিক অনন্যার সম্পাদক তাসমিমা হোসেন এবং উইম্যান এন্ট্রাপ্রেনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট নাসরিন ফাতেমা আউয়াল।
মিসেস শিরিন বানু বলেন, বাংলাদেশকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতে প্রতিনিয়ত নারীরা অবদান রেখে যাচ্ছে। এই কীর্তিমতীদের সম্মাননা দিয়ে আমরা নিজেদের সম্মান দিয়েছি।
তাসমিমা হোসেন বলেন, নারীর ক্ষমতায়ন হলে মানুষের ক্ষমতায়ন হয়। আমাদেরকে সমতার সমাজ গড়তে কাজ করতে হবে। এই সম্মাননা দেখে অন্যরা কাজ করতে উৎসাহ পাবে। সংসারে নারীর ভূমিকাকে ছোট করে দেখার উপায় নেই বলে জানান তিনি।
নাসরিন ফাতেমা আউয়াল বলেন, সকল ক্ষেত্রে নারী আজ এগিয়ে যাচ্ছে। নারীদের এই সম্মাননা দেয়া খুবই ইতিবাচক উদ্যোগ।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন স্কয়ার ফুড অ্যান্ড বেভারেজের পরিচালক অঞ্জন চৌধুরী। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন স্কয়ার মাতা মিসেস অনিতা চৌধুরী।