ব্রিটেনের পার্লামেন্ট নির্বাচন
টিভি বিতর্কে অংশ নিতে ক্যামেরনের অনীহা
আগামী ৭ মে ব্রিটেনের পার্লামেন্ট নির্বাচনকে সামনে রেখে টিভি বির্তকে অংশ নিতে ক্যামেরন অনীহা প্রকাশ করে যাচ্ছেন। ফলে আগামী নির্বাচনে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা টিভি বির্তক অনুষ্ঠিত হবে কিনা তা নিয়ে সংশয়ের সৃষ্টি হয়েছে। সরাসরি টেলিভিশন বিতর্কে অংশগ্রহণ নিয়ে একের পর এক আপত্তি তুলে যাচ্ছেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন। টিভি চ্যানেলগুলোর দুই দফা প্রস্তাবে খুঁত ধরার পর এবার তিনি নতুন প্রস্তাব মোতাবেক বিতর্কে অংশ নিতে তিনি রাজি। তবে সেটা হতে হবে নির্বাচনের মূল প্রচারণা শুরুর আগেই।
আগামী ৭ মে ব্রিটেনে পার্লামেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ৯ এপ্রিলের মধ্যে মনোনয়নপত্র জমা দিতে হবে। এরপর শুরু মূল প্রচারণার পর্ব।
এবারের নির্বাচনের মূল আকর্ষণ বিরোধী দল লেবার পার্টির নেতা এড মিলিব্যান্ডের সঙ্গে হেড টু হেড বিতর্কে রাজি হচ্ছেন না ক্যামেরন। বিরোধীদের দাবি, ক্যামেরন সরাসরি বিতর্কে ভয় পাচ্ছেন, কারণ তিনি বিরোধী নেতাদের প্রশ্নের জবাব দিতে পারবেন না। ক্যামেরনের দল এখনো পূর্ণাঙ্গ নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেনি। বিরোধীরা বলছেন, ইশতেহার ঘোষণার আগে বিতর্কের কোনো মানেই হয় না।
টিভি চ্যানেলগুলোর প্রথম প্রস্তাবে কনজারভেটিভ, লেবার ও লিবারেল ডেমোক্র্যাট দলের পাশাপাশি এবার হালে আলোচনায় আসা ইউকে ইন্ডিপেনডেন্ট পার্টির (ইউকিপ) নেতাকেও বিতর্কে আমন্ত্রণ জানানো হয়। গ্রিন পার্টিকে কেন আমন্ত্রণ করা হলো না, এমন ঠুনকো অজুহাত তুলে সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছিলেন ক্যামেরন। এরপর দ্বিতীয় প্রস্তাবে গ্রিন পার্টির পাশাপাশি স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টি ও ওয়েলশ ন্যাশনালিস্টস প্লেইড কিমরুকেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তাতেও গোঁ ধরেন ক্যামেরন। বলেন, ডেমোক্রেটিক ইউনিয়নিস্ট পার্টিকেও (ডিইউপি) আমন্ত্রণ জানাতে হবে।
ক্যামেরন রাজি না হলে তাঁর চেয়ার খালি রেখে বিতর্ক চালিয়ে যাওয়ার যে ঘোষণা টিভি চ্যানেলগুলো দিয়েছিল, তা এগোবে না বলেই মনে করা হচ্ছে। সেটা হলে চ্যানেলগুলোর নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে।