নারীর প্রকৃত অধিকার কেবল ইসলামেই সংরক্ষিত : নারী অধিকার আন্দোলন
আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে নারী অধিকার আন্দোলনের সভানেত্রী ভাষাসৈনিক অধ্যাপিকা চমন আরা এবং সেক্রেটারি অধ্যাপিকা ডা. হাবীবা আক্তার চৌধুরী গতকাল শনিবার এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, নারীকে বাদ দিয়ে কোনো মানবীয় সমাজের কল্পনা করা যায় না। সভ্যতার ইতিহাসে পুরুষের পাশাপাশি মানবীয় সমাজের ভিত রচিত হয়েছে নারীর ভূমিকা ও উদ্যোগের ফলেই। এজন্য দুনিয়ার বুকে সুন্দর ও কল্যাণকর সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে নারীর মর্যাদা ও সঠিক অধিকার প্রাপ্তি আবশ্যক। তবে আধুনিকতার সর্বোচ্চ পর্যায়ে এসে নারী অধিকারের নামে নারীকে পণ্যরূপে উপস্থাপনের প্রচেষ্টা তার মর্যাদার ভিত্তিকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। এমতাবস্থায় উন্নত নৈতিকতাসম্পন্ন ও কল্যাণকর সমাজ ব্যবস্থা গঠনের লক্ষ্যে নারীর সকল অধিকার কেবল ইসলামেই সংরক্ষিত। বাস্তবতার নিরিখে ইসলামই তাকে সুষ্ঠু সুন্দর ও উন্নত মর্যাদাসম্পন্ন ব্যবস্থা প্রদান করেছে তা সমাজে নারী পুরুষ বৈষম্য দূরীকরণে সবচেয়ে কার্যকর। ইসলামী সমাজব্যবস্থা নারীর অর্থনৈতিক অধিকার, সামাজিক অধিকার, শিক্ষা গ্রহণের অধিকার দেয়ার পাশাপাশি সম্মান ও মর্যাদা সহকারে নারীকে তা অর্জন করারও ব্যবস্থা করে দিয়েছে। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখজনক যে নারীর অধিকার আদায়ের নামে কিছু কথিত নারীবাদী সংগঠনের হীন কৌশলের শিকার অনেক নিরীহ নারীরাও বুঝতে পারে না, যে শাশ্বত বিধান তার অধিকারকে সংরক্ষণ করে এবং সর্বোচ্চ মর্যাদা প্রদান করে তাই কেবল তাকে মুক্তির পথ দেখাতে পারে। নারীকে আল্লাহ যে উচ্চ মর্যাদা দান করেছেন, তার প্রেক্ষিতেই ইসলাম নারী ও পুরুষ উভয়ের কর্মক্ষেত্রকে পৃথক করে দিয়েছে। একমাত্র ইসলামী ব্যবস্থা নারীদের প্রকৃতি ও বৈশিষ্ট্যের দিকে লক্ষ্য রেখে তাদের সঠিক মর্যাদা ও সম্মান দেয়া হয়েছে।
নেত্রীদ্বয় বলেন, সারা দেশে নারী অধিকারের কথা বলা হলেও স্বাধীন বাংলাদেশে আজ নারীর অধিকার ও মর্যাদা ভূলুন্ঠিত। আওয়ামী সরকার ক্ষমতায় আসার পরপরই বিতর্কিত নারী নীতিমালা তৈরি করে নারী অধিকারের নামে নারীকে পণ্য বানানোর অপচেষ্টা করেছে। এরপর কোন প্রকার মামলা ছাড়াই রাজধানীসহ সারা দেশে একের পর এক পর্দানশীন নারীকে গ্রেফতার করেছে। সন্তানসম্ভবা কিংবা অশীতিপর বৃদ্ধা নারীও তাদের এই ঘৃণ্য প্রতিহিংসা থেকে রক্ষা পায়নি। কেবল গ্রেফতার করেই ক্ষান্ত হয়নি রিমান্ডের নামে চালানো হয়েছে নির্মম অমানুষিক নির্যাতন। মুখে নারী অধিকারের কথা বার বার বললেও স্বাধীন দেশে নারীর এই অবমাননা কেবল মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘনই নয় বরং নারীর অধিকার লঙ্ঘনেরও এক ঘৃণ্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। তারা নারী সমাজের ওপর এই বর্বর নির্যাতনের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান এবং এইসব অমানবিক ঘটনার উপযুক্ত বিচারের দাবি জানান। সেই সঙ্গে নারীর উপযুক্ত মর্যাদা প্রদানে এবং বৈষম্য রোধে সমাজের সকল স্তরের মানুষের প্রতি আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করার আহ্বান জানান।