কামারুজ্জামানের রিভিউ শুনানি ১ এপ্রিল পর্যন্ত মুলতবি
জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগের দেয়া মৃত্যুদণ্ডের রায়ের রিভিউ (পুনর্বিবেচনা) আবেদনের শুনানি ১ এপ্রিল পুনঃনির্ধারণ করা হয়েছে।
সোমবার সকালে প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহার নেতৃত্বে আপিল বিভাগের চার সদস্যের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ আসামিপক্ষের আইনজীবীদের করা আবেদনের প্রেক্ষিতে নতুন তারিখ নির্ধারণ করেন।
বেঞ্চের অন্য সদস্যরা হলেন-বিচারপতি আবদুল ওহাব মিয়া, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ও বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী।
গত বৃহস্পতিবার সকালে আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় আপিল মামলার চূড়ান্ত পূর্ণাঙ্গ রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদনটি দাখিল করেন কামারুজ্জামানের আইনজীবীরা।
দুপুরে চেম্বার বিচারপতির আদালতে শুনানির দিন ধার্যের আবেদন জানিয়ে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। তবে আসামিপক্ষে কেউ আদালতে হাজির ছিলেন না।
পরে শুনানির দিন ধার্যে আদেশের দিন রোববার ধার্য করে দেন।
মোট ৭০৫ পৃষ্ঠার রিভিউ আবেদনে ৪৪টি যুক্তি দেখিয়ে কামারুজ্জামানের ফাঁসির আদেশ বাতিল ও তার খালাস চেয়েছেন আসামিপক্ষ।
রিভিউ আবেদন বিষয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম তার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের জানান, রিভিউ আবেদন দাখিল হওয়ায় আপাতত কামারুজ্জামানের মৃত্যু পরোয়ানা স্থগিত থাকবে।
মাহবুবে আলম বলেন, আমি মনে করি না, রিভিউয়ে আপিল বিভাগের রায় পরিবর্তিত হবে। কারণ, চূড়ান্ত রায়ে অপরাধ যে হয়েছে ও তাতে আসামির দায় নিয়ে চার বিচারপতিই একমত হয়েছেন। একজন শুধু দণ্ডের বিষয়ে দ্বিমত প্রকাশ করেছেন।
রিভিউ শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষে নেতৃত্ব দেবেন রাষ্ট্রের এই প্রধান আইন কর্মকর্তা।
অন্যদিকে কামারুজ্জামানের প্রধান আইনজীবী অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন রিভিউ দাখিলের পরে প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান, আপিল মামলার রায়ে একজন বিচারপতি ফাঁসির আদেশের বিষয়ে ভিন্নমত পোষণ করেছিলেন। তার পয়েন্টগুলো ধরেই আমরা রিভিউ আবেদনের শুনানি করবো।
কামারুজ্জামানের পক্ষে রিভিউ শুনানিতে নেতৃত্ব দেবেন তার এই প্রধান আইনজীবী।
খন্দকার মাহবুব বলেন, ট্রাইব্যুনালে বিচারিক কার্যক্রম চলাকালে চার্জশিটভুক্ত (ফরমাল চার্জ) দশজন সাক্ষীর বাইরে রাষ্ট্রপক্ষের নতুন তিনজন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছিল। এটা আমার একটা বড় প্রশ্ন।
দেশের এই অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে রিভিউ নিষ্পত্তিতে তাড়াহুড়া না করতে ও সময় নিয়ে শুনানি গ্রহণ করতে বিচারপতিদের কাছে আবেদন জানান তিনি।