লন্ডনে ধর্মীয় নেতাদের সেমিনারে সন্ত্রাস আর ধর্মকে একত্র না করার আহবান
মেট্রপলিটন পুলিশের সহযোগিতায় লন্ডনের সকল ধর্মের প্রতিনিধিদের নিয়ে স্টেন্ড টুগেদার নামে একটি ক্যাম্পেইন কর্মসূচীর শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে রোববার। এতে পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তা এবং ধর্র্মীয় নেতারা বলেছেন, বৃটেন এবং ইউরোপের বিভিন্ন স্থানে সস্ত্রাসী হামলা এবং বিভিন্ন ধরনের উগ্রবাদী ততপরতার কারনে কমিউনিটিতে এক ধরনের টেনশন বিরাজ করছে। কিন্তু কোনো ধর্মই এমন অমানবিক আচরনকে প্রশ্রয় দেয়না। বরং সকল ধর্মের নেতারাই নিজ থেকে ভাবছেন, কী ভাবে এই সংকটে একে ওপরের পাশে দাড়াবেন। প্রয়োজনে শুধু পাশে দাড়ানো নয়, একসাথে চলবেন শক্তিশালী ও শান্তিময় সমাজ গঠনে। লন্ডনের রিজেন্টস পার্ক সেন্ট্রাল মসজিদের হল রুমে আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে উপস্থিত সকল ধর্মের নেতারা দাড়ান এক সাথে। মতবিনমিয় করেন একে অন্যের সাথে। সাইন করেন সহনশিলতা,একতা এবং শান্তির পক্ষে।
লন্ডন মেট্রপলিটন পুলিশের সহযোগিতায় এবং এর হেড অব কমিউনিটি এনগেইজম্যান্ট কমান্ডার চিশতির পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, ধর্ম সন্ত্রাস করে না, কিন্তু কখনো ধর্মের নাম ছড়িয়ে দেয়া হয় অথবা ধর্মের ভুল ব্যাখ্যা দেয়া হয়। পুলিশ কমান্ডার বলেন, বিশ্বের যে কোনো স্থানে, বৃটেনে বা ইউরোপে যে কোনো ঘটনা ঘটার পর পরই বিভিন্ন স্থানে প্রভাব পড়তে পারে। কিন্তু আমরা যে একা একা, ভিন্ন ভিন্ন গ্রুপ বা ধর্মে বিভক্ত না হই। এক সাথে থাকি। একে অন্যের পাশে দাড়াই। একসাথে প্রতিবাদ করি বা সহমমর্মিতা জানাই।
স্টেন্ড টুগেরদার-এর এই শুভ সূচনাটি লন্ডনে হলেও পুরো বৃটেনে এমন কর্মসুচী চলবে বলে জানাগেছে। রিজেন্টস পার্ক সেন্ট্রাল মসজিদের ডিজি ড আবু দোবাইয়ান স্থানীয়া সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন-উগ্রবাদ ও সন্ত্রাস নিয়ে রাজনীতি আছে, রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের ব্যাপার আছে-কিন্তু সবাই স্ব স্ব অবস্থান থেকে দায়িত্ববোধ নিয়ে কাজ করলে/ পেছন থেকে কেউ প্রভাব ফেলতে পারবে না।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ধর্মেও প্রতিনিধি ও কমিউনিটি নেতারা ছাড়াও বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য যোগদেন। বিশেষ করে যারা কমিউনিটি এন্ড ইয়ুথ টিমে যুক্ত তারা নিজেরাও বিভিন্ন কমিউনিটির সাথে আরো বেশী যুক্ত হওয়ার উপর গুরুত্বারোপ করেন।
সমাজ ও কমিউনিটি ইস্যুতে সকল ধর্মের একতার বিষয়টি নতুন নয়। তবে এর সাথে পুলিশের সক্রিয়তার বিষয়টি কিছুটা নতুন মাত্রার যোগ করেছে। তবে সময় বলে দেবে-এটা কতটুকু কার্যকর হয়েছে।