ইংল্যান্ড এখন হাসির খোরাক
বিশ্বকাপে বাংলাদেশের কাছে পরাজয়ে ব্রিটিশ মিডিয়া ইংল্যান্ড দলের সমালোচনামুখর হয়ে ওঠেছে। ব্রিটেনের প্রধান প্রধান গণমাধ্যমে এটাকে তাদের দলের জন্য ভয়াবহ লজ্জা বিবেচনা করছে। প্রভাবশালী ডেইলি মেইলে বলা হয়, বাংলাদেশের কাছে এই পরাজয়ের ফলে ইংল্যান্ড এখন বিশ্বক্রিকেটের হাসির খোরাকে পরিণত হয়েছে।
ডেইলি মেইলের প্রতিবেদনে বলা হয়, অ্যাডেলেইড ওভালে বাংলাদেশের কাছে পরাজিত হয়ে ইংল্যান্ড লজ্জাজনকভাবে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিয়েছে ইংল্যান্ড।
এতে আরো বলা হয়, ১৯৯২ সালের বিশ্বকাপের ফাইনালে ওঠার পর থেকে ইংল্যান্ড সম্ভব সবভাবেই বিদায় নিয়েছে। তবে এমনটা আর কখনো ঘটেনি।
এতে বলা হয়, নিশ্চিতভাবেই সবচেয়ে বাজে পরাজয়, এমনকি ১৯৯৬ সালে শ্রীলঙ্কার পিঞ্চ হিটারদের বেধড়ক পিটুনির চেয়েও লজ্জাজনক।
ডেইলি মেইল জানায়, বাংলাদেশের কাছে এই পরাজয় কাপুরুষোচিত আত্মসমর্পণ, চরম বিপর্যয়ের চেয়ে কম কিছু নয়, সাম্প্রতিক সময়ে এর চেয়ে বড় লজ্জায় আর পড়েনি। এটা ইংল্যান্ডকে বিশ্বক্রিকেটের হাসির খোরাকে পরিণত করেছে।
বিবিসি বাংলার শিরোনাম ছিল ‘অ্যাডেলেইডের পিচে টাইগারদের উল্লাস’। এতে বলা হয়, ১৫ রানে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে আইসিসি বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের দেয়া ২৭৬ রানের টার্গেট নিয়ে খেলতে নেমে ২৬০ রানের মাথায় ইংল্যান্ডের সব উইকেটের পতন ঘটে।
বিবিসি বাংলার অপর একটি শিরোনাম ছিল ‘অ্যাডেলেইডে বাঘের গর্জন।’
বিবিসির খবরে বলা হয়, গত ২৩ বছরের ৫ বিশ্বকাপে এটা ইংল্যান্ডের চতুর্থ বিদায়। আর পাঁচ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ড তৃতীয়বারের মতো গ্রুপ পর্যায় থেকে বিদায় নিল। আর বাংলাদেশ মাত্র দ্বিতীয়বারের মতো প্রথম রাউন্ডের বাধা পেরুল।
এতে আরো বলা হয়, বাংলাদেশের এই জয়ের ফলে নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার সাথে শ্রীলঙ্কাও কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠে গেল। আর ইংল্যান্ড শুক্রবার সিডনিতে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে নামবে নিয়ম রক্ষার ম্যাচে।
মর্যাদাসম্পন্ন গার্ডিয়ান পত্রিকায় বলা হয়, বাংলাদেশের কাছে পরাজয়ের পর ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্যায় থেকেই বিদায় নিল। তারা অপমানজনকভাবে বিদায় নিল।