‘নাগাল্যান্ডে ধর্ষণের অভিযোগে জেল ভেঙে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা পরিকল্পিত’

নাগাল্যান্ডের ডিমাপুরে ধর্ষণের অভিযোগে জেল ভেঙে কথিত ধর্ষককে পিটিয়ে হত্যার পর রাজ্য সরকার রিপোর্টে জানিয়েছে আদৌ ধর্ষণের কোন ঘটনাই ঘটেনি। নাগাল্যান্ড সরকারের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ে পাঠানো রিপোর্টে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য জানানো হয়েছে।
এটিকে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড আখ্যা দিয়ে রাজ্য ব্যাপী প্রতিবাদের এক পর্যায়ে কারফিউ জারি করে পরিস্থিতি সামাল দিতে হয় রাজ্য সরকারকে। বন্ধ করে দেয়া হয় ইন্টারনেট ও মোবাইল সেবা।
এখন পর্যন্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি শহরটিতে। জেলে হামলা চালানো লোকজনের অনেককেই গ্রেফতার করা হয়েছে গত কয়েক দিনে।
নাগাল্যান্ডের ইনস্পেক্টর জেনারেল জানান, কথিত ধর্ষিতার মেডিকেল পরীক্ষায় ধর্ষণের প্রমাণ পাওয়া যায়নি। শরীরের কয়েক জায়গায় সামান্য আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
কয়েকদিন আগে নাগাল্যান্ডের ডিমাপুরে সঈদ ফরিদ খান নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে এক নাগা নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। অভিযোগে বলা হয় ফেব্রুয়ারি মাসের ২৩ ও ২৪ তারিখ ফরিদ খান নাগাল্যান্ডের বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে গিয়ে একাধিকবার ওই নারীকে ধর্ষণ করে। এই অভিযোগের ভিত্তিতে ২৫ তারিখ পুলিশ অভিযুক্ত ফরিদ খানকে গ্রেফতার করে। ধর্ষণের প্রতিবাদে কয়েক হাজার উত্তেজিত জনতা ডিমাপুরের সেন্ট্রাল জেলে হামলা চালিয়ে জেলের গেট ভেঙে ফরিদ খানকে বের করে আনে। এরপর তাকে বিবস্ত্র করে পিটিয়ে ঘটনাস্থলেই খুন করে। মোটরসাইকেলের পিছনে দড়ি দিয়ে বেঁধে টেনে নিয়ে ডিমাপুর শহরের মূল কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর তার দেহ একটি ঘড়ি টাওয়ারে ঝুলিয়ে দেয় উত্তেজিত জনতা।
এখন তদন্তে দেখা যাচ্ছে রাজ্যটিতে বহিরাগতদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ছড়াতেই পরিকল্পিতভাবে এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে। হত্যাকাণ্ড থামাতে ব্যর্থতা ও মদত দেয়ার অভিযোগে কয়েকজন সরকারি কর্মকর্তাকেও বরখাস্ত করা হয়েছে। সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button