সৌদি আরবে অবৈধ শ্রমিক গ্রেফতারে সাড়াশি অভিযান
সৌদি আরবে অবৈধ অভিবাসীদের গ্রেফতারে যৌথবাহিনীর সাড়াশি অভিযান শুরু হয়েছে। আর এই অভিযানে প্রতিদিন আটক হচ্ছেন বাংলাদেশীসহ অন্যান্য দেশের সহস্রাধিক শ্রমিক। আবাসন ও শ্রম আইন লংঘন করার অপরাধে তাদের আটক করা হচ্ছে। যৌথ অভিযানে এ পর্যন্ত প্রায় সোয়া লাখ অবৈধ বিদেশী শ্রমিক আটক হয়েছে।
সৌদি পুলিশের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা মেজর জেনারেল আব্দুল আজিজ বিন ওসমান আল-সুলী এ প্রসঙ্গে স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমকে জানান, উপ-প্রধানমন্ত্রী ডেপুটি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন নাইফের তত্ত্বাবধানে এ অভিযান শুরু হয়েছে। যারা ধরা পড়ছে তাদেরকে ৪০ হাজার লোক ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন সেমুসি নির্বাসন কেন্দ্রে রাখা হচ্ছে। এছাড়া ধরা পড়াদের মধ্যে এক লাখ দুই হাজার অবৈধ কর্মীকে নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর জন্য সৌদি অ্যারাবিয়ান এয়ারলাইন্স প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে বলেও জানান মেজর জেনারেল আল-সুলী।
পাসপোর্ট বিভাগের উপ-মহাপরিচালক দাইফা বিন সাত্তাম আল হোয়াইফি বলেন, গত পাঁচ মাসে আবাসন এবং শ্রম আইন লংঘনের অভিযোগে প্রায় এক লাখ ১০ হাজার অভিবাসীকে আটক করা হয়েছে।
অভিযানে এ পর্যন্ত কতজন বাংলাদেশী আটক হয়েছেন জানতে চাইলে জেদ্দা বাংলাদেশ কনস্যুলেটের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, সৌদি বাদশাহ’র সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার সময় আট লাখ বাংলাদেশি বৈধ হয়েছেন, এর ফলে অবৈধ বাংলাদেশির সংখ্যা অনেক কমে গেছে। তিনি বলেন, যেখানে অন্যান্য দেশের ২০০-২৫০ জন কর্মী আটক হচ্ছেন, সেখানে ৪-৫ জন বাংলাদেশী আটকের খবর আমরা পেয়েছি।
সৌদি প্রশাসনের চলমান এই অভিযানে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশীরা। বিভিন্ন বাহিনীর সমন্বয়ে গঠিত যৌথ বাহিনীর সদস্যরা আবাসিক ভবন, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং বিভিন্ন কলকারখানায় হানা দিচ্ছে। এতে প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মীদের ইকামার সাথে কাজের মিল আছে কি-না এবং প্রতিষ্ঠানটি একই কিনা সেটা যাচাই বাছাই করে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন অভিযানের মুখোমুখি হওয়া একাধিক বাংলাদেশী।
আজ বৃহস্পতিবার রাতে এ বিষয়টি জানতে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থাণ মন্ত্রনালয়ের সচিব খন্দকার ইফতেখার হায়দারের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করেও পাওয়া যায়নি।
রাতে জনশক্তি রফতানীকারকদের সংগঠন বায়রার সভাপতি আবুল বাশার নয়া দিগন্তকে জানান, সৌদি আরবে বাংলাদেশী শ্রমিক পুলিশী অভিযানে গ্রেফতার হয়েছে এমন খবর তা জানা নেই।