ক্লাসরুমে হিজাবের অনুমতি জার্মান আদালতের
স্কুলে মুসলিম মহিলাদের হিজাব পরিধানে নিষেধাজ্ঞা জারি করা জার্মানির সর্বোচ্চ আদালত আগের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে। শুক্রবার জারি করা এক রুলিংয়ে আদালত বলেছে, স্কুলের কার্যক্রমে কোন বাঁধা সৃষ্টি না হলে মুসলিম শিক্ষিকারা মাথায় স্কার্ফ পরতে পারবেন।
২০০৩ সালে হিজাবের ওপর স্কুল কর্তৃপক্ষের নিষেধাজ্ঞা জারির অধিকার দিয়ে দেশটির সাংবিধানিক এই আদালত যে রায় দিয়েছিল তা পূণর্বিবেচনা করে শুক্রবারের রুলিংয়ে বলেছে, এখন থেকে সরকারি স্কুলের মুসলিম শিক্ষিকারা হিজাব নিয়ে কোন ধরনের নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি হবেন না।
স্কুলের কার্যক্রম পরিচালনায় ‘যথেষ্ট বোধগম্য সমস্যা’ বা ‘রাষ্ট্রীয় নিরপেক্ষতা’ খর্ব না হলে হিজাব নিয়ে কোন ধরনের নিষেধাজ্ঞা গ্রহণযোগ্য হবে না।’
আদালতের রায়ের ভিত্তিতে ২০০৩ সাল থেকে জার্মানির ১৬টি আঞ্চলিক প্রদেশের অনেকগুলোতে মুসলিম শিক্ষিকাদের হিজাব পরিধানে নিষেধাজ্ঞা ছিল। তখন আদালত বলেছিল, এ বিষয়ক আইন করা না করা প্রাদেশিক কর্তৃপক্ষের ইচ্ছার উপর নির্ভর করে।
কিন্তু দুই মুসলিম মহিলার আবেদনের প্রেক্ষিতে শুক্রবারের রুলিংয়ে আদালত বলেছে, এ বিষয়ে পুরোপুরি নিষেধাজ্ঞা জারি করে রাখা জার্মানিতে ধর্মীয় স্বাধীনতাকে প্রশ্নের সম্মুখীন করে।
সেন্ট্রাল কাউন্সিল অব মুসলিমস ইন জার্মানি’র সেক্রেটারি নুরহার সয়কান আদালতের এই আদেশকে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, সাধারণভাবে হিজাবের অনুমোদন না দিলেও রায়ে ইতিবাচক বার্তা রয়েছে।
এদিকে, এ রায়কে ঘিরে আবারো ‘ইউরোপের ইসলামীকরণ’ বিতর্কে হাওয়া লাগতে পারে বলে অনেকে ধারণা করছেন।