সিরিয়ায় যাওয়ার পথে টার্কিতে ৩ ব্রিটিশ নাগরিক আটক
সিরিয়ায় যাওয়ার পথে টার্কি সীমান্তে আটক আরো তিন ব্রিটিশ নাগরিককে ইউকেতে ফেরত আনা হয়েছে। শুক্রবার ইস্তাম্বুলে তাদের আটক করে টার্কি পুলিশ। সন্ত্রাসী তৎপরতার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সন্দেহে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
সিরিয়ায় ইসলামিক স্টেইট সংক্ষেপে আইএসের সঙ্গে ইতোমধ্যে প্রায় কয়েক শত বৃটিশ তরুন তরুনী যোগ দিয়েছেন। আইএসে যোগদান থেকে তরুন তরুনীদের বিরত রাখতে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছে ব্রিটিশ পুলিশ। প্রায় এক মাস হয়ে গেলো ইস্তাম্বুল গেছেন শামিমা বেগম, আমিরা আব্বাসী এবং খাদিজা সুলতানা। এ তিনজন টার্কি সীমান্ত পাড়ি দিয়ে আইএসের ঘাটিতে পৌঁছে গেছেন বলে ধারনা করা হচ্ছে। তাদের উদ্ধারে ব্রিটিশ এবং টার্কি পুলিশ ব্যর্থ হলেও শুক্রবার টার্কি পুলিশ আরো ৩ ব্রিটিশ তরুন তরুনীকে গ্রেফতার করেছে।
এ তিনজনও ইস্তাম্বুল হয়ে সিরিয়ায় যাওয়ার চেস্টায় ছিলেন বলে পুলিশের পক্ষ থেকে দাবী করা হচ্ছে। এ তিনজনের মধ্যে একজনের বয়স ১৯। বাকী দুজনের বয়স ১৭ বছর করে। তারা ওয়েস্ট লন্ডনের বাসিন্দা। শুক্রবার তারা নিখোঁজ বলে তাদের পরিবারের পক্ষ থেকে পুলিশে রিপোর্ট করা হয়। পুলিশ তাৎক্ষনিকভাবে বিষয়টি টার্কি পুলিশকে অবহিত করে। ধারণা করা হচ্ছে, এ তিনজন লন্ডন থেকে বার্সেলোনা এবং বার্সেলোনা থেকে ইস্তাাম্বুলে পৌছায়। পুলিশের চোখ ফাঁকি দিতেই তারা নতুন রুট বেছে নেয় বলে ধারনা করা হচ্ছে। তবে টার্কি থেকে কোন সীমান্ত পথে তাদের সিরিয়ায় যাওয়ার পরিকল্পনা ছিলো তা নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ। শনিবার রাতে ইস্তাম্বুল থেকে ইউকেতে ফেরত পাঠানোর পথে সন্ত্রাসী কাজে সংশ্লিষ্ট সন্দেহে তাদের গ্রেফতার করা হয়। বিষয়টি বেশ গুরুতর বলে অভিহিত করেছেন হোম এফেয়ার্স কমিটির চেয়ার কিথ ভাজ এমপি।
তবে সন্তানদের প্রতি বিশেষভাবে নজর রাখতে পিতামাতার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। অনলাইনের মাধ্যমে এখনো নিয়োগ প্রক্রিয়া অব্যাহত রেখেছে আইএস। যা নিয়ন্ত্রণ বা কন্ট্রোল করা কঠিন পুলিশের জন্য। ইতোমধ্যে প্রায় ৭শ ব্রিটিশ তরুন তরুনী আইএসে যোগ দিয়েছেন বলে ধারণা করছে স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড।