ডিটেনশন সেন্টারে মৃত্যুবরণকারী রুবেলের মামলার শুনানি মে মাসে
হোম অফিসের ডিটেনশন সেন্টারে আটক থাকা অবস্থায় গত বছরের ৫ সেপ্টেম্বর রহস্যজনকভাবে মৃত্যুবরণকারী রুবেলের মামলার শুনানি আগামী মে মাসে অনুষ্ঠিত হতে পারে বলে তার পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। ২৬ বছরের রুবেল আহমেদের বাড়ি বিশ্বনাথের শাঙ্গিরাই গ্রামে। ওয়ার্কিং হলিডে মেকার হিসাবে ২০০৯ সালে বিলেতে এসেছিলেন। গত বছরের ৫ সেপ্টেম্বর মধ্যরাতে লিঙ্কনশায়ারের মার্টন হল ডিটেনশন সেন্টারে তার রহস্যজনক মৃত্যু হয়। রহস্যজনক এ মৃত্যুর কারণ খুঁজতে আদালতের স্বরনাপন্ন হয়েছেন তার পরিবার। পরিবারের পক্ষ থেকে রুবেলের হত্যার কারণ উদঘাটনের জন্য পুনতদন্তের দাবী করে একটি আপিল করা হয়েছিলো। সেই আপিলের প্রেক্ষিতে সব তদন্ত সম্পন্ন শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছেন রুবেলের স্বজন মঈন উদ্দিন আনসার। আগামী মে মাসের যে কোনো দিন সেই আপিলের শুনানি শুরু হওয়ার কথা রয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। ডিটেনশন সেন্টারে রুবেলের রহস্যজনক মৃত্যুর কারণ উদঘাটনের দাবীতে সভা-সমাবেশও হয়েছিল কমিউনিটিতে। রুবেলের মরদেহ দেশে পাঠানো হয়েছে। দেশের মাটিতে তাকে দাফন করা হয়েছে। যদিও তার মামলার এখনো নিস্পত্তি হয়নি।
ইউকের ডিটেনশন সেন্টারগুলোতে এখনো আরো অনেক বাংলাদেশী আটক রয়েছেন। বিভিন্ন সুযোগ সুবিধার দাবীতে গত সপ্তাহে হিথরোর কাছে একটি ডিটেনশন সেন্টারে হাঙ্গার স্ট্রাইক করেছেন ডিটেইনিরা। সেখানেও কিছু সংখ্যক বাঙালী অংশ নিয়েছেন। স্ব স্ব দেশে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়ায় বিলম্বের কারণে ইউকের বিভিন্ন ডিটেনশন সেন্টারে প্রায় ৩০ হাজার ইমিগ্রান্ট আটক রয়েছেন বলে জানা গেছে। তাদের ফেরত পাঠানোর ক্ষেত্রে স্ব স্ব দেশের হাইকমিশন বা এম্বেসি থেকে ট্রাভেল কার্ড সরবরাহ না করা একটি বড় বাধা বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট এক আইনজীবি। এছাড়াও অভার স্টে হয়ে যাওয়ার পরেও সলিসিটরের পরামর্শ অনুযায়ী যে কোনো অজুহাতে একটা মামলা টুকে দেয়া হয়। ফলে পুলিশ বা ইউকে বিএ কর্তৃক আটক হওয়ার পরেও ওই মামলা বা আবেদনের নিস্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তাকে দেশে পাঠানো সম্ভব হয় না। ফলে ওই সব ইমিগ্রান্টকে ডিটেনশন সেন্টারে মানবেতর জীবন যাপন করতে হয়। এসব ভেজালে না গিয়ে ইউকেতে অবৈধ হয়ে যাওয়ার পর প্রকৃত কোনো উপায় না থাকলে হোম অফিসের নির্ধারিত প্যাকেজ নিয়ে দেশে ফেরত যাওয়াই উচিত বলে মনে করেন সংশ্লিষ্ট আইনজীবিরা।