উচ্চবিত্ত পরিবারের বখে যাওয়া মেয়ে ঐশী
দেশীয় সংস্কৃতির গন্ডি পেরিয়ে পশ্চিমা সংস্কৃতিতে মেয়েকে মানুষ করতে বাবা-মা অনেক স্বপ্ন নিয়ে ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে ভর্তি করেছিলেন ওকে। কিন্তু সে মানুষ হয়নি, হয়েছে খুনি। অল্প বয়সেই উশৃঙ্খল হয়ে পড়ে সে। পিতার অফুরন্ত টাকা আর উচ্চবিত্ত পরিবারের বখে যাওয়া ছেলে-মেয়েদের সঙ্গে অবাধ মেলামেশা ওকে সর্বনাশের চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে যায়। একপর্যায়ে ঐশী হয়ে উঠে বেপরোয়া। পিতা-মাতার শাসন- বারণ কোনো কিছুকেই সে তোয়াক্কা করতো না।
ইয়াবায় আসক্ত ঐশী এ বয়সেই একাধিক ছেলে বন্ধুর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। রাত করে বাড়ি ফেরা, মায়ের নিষেধ সত্ত্বেও বাসায় ছেলে বন্ধুদের নিয়ে সময় কাটানো নিয়মিত হয়ে উঠেছিল।
গোয়েন্দা পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে ঐশী জানিয়েছে, একাধিক ছেলে বন্ধুর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক ছিল। নিয়মিত ইয়াবা সেবনে মাত্রারিক্ত আসক্ত হয়ে পড়েছিল সে।
মেয়ের বখে যাওয়ার বিষয়টি পুলিশ কর্মকর্তা বাবা সহ্য না করতে পেরে গত এক মাস তাকে বাসায় বন্দি করে রাখেন। আর এতেই সাইকো কিলারে পরিণত হয় ঐশী।
পুঞ্জীভূত ক্ষোভ থেকে বন্ধুদের সঙ্গে মিলে বাবা-মাকে হত্যা করে ঐশী। এ হত্যাকান্ডকে পরিকল্পিত বলছেন গোয়েন্দারা। উঠতি বয়সে কয়েক বন্ধু-বান্ধবী মিলে পরিকল্পনা করে এই জোড়া খুনের ঘটনা ঘটায় তারা। এরপর বাসায় থাকা নগদ টাকা ও স্বর্ণলঙ্কার লুট করে।
মরণ নেশা ইয়াবাই ঐশীকে মানসিক বিকারগ্রস্ত করে তোলে। আর এ থেকে তাকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করেছিলেন তার বাবা-মা। গোয়েন্দা জিজ্ঞাসাবাদে ঐশী একাধিক বন্ধুর সঙ্গে অবাধ মেলামেশার কথা বলেছে। বলেছে দীর্ঘদিন ধরে ইয়াবা সেবনের কথা। সে কিভাবে ইয়াবায় আসক্ত হয়ে পড়ে, কারা তাকে এপথে নিয়ে এসেছে হত্যাকান্ডেই বা কারা সহযোগিতা করেছে সবই বলেছে সে।