সৌদির মরুভূমিতে গড়ে উঠছে রূপকথার নগরী

Saudiলোহিত সাগরের উপকূল ঘেঁষে বিস্তীর্ণ মরুভূমি। আজকের সেই মরুভূমিই একদিন ওয়াশিংটন ডিসি’র জৌলুস পাবে এখানে হবে রূপকথার নগরী। না, আমেরিকার রাজধানীও হেরে যাবে মরুময় এই শহরের জৌলুসের কাছে।
শহরটির স্বপ্নদ্রষ্টা সৌদি আরবের সাবেক বাদশাহ আবদুল্লাহ। ইতোমধ্যে নির্মাণ কাজের ১৫ শতাংশ শেষ হয়েছে। ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার (৮ লক্ষ কোটি টাকা) ব্যয়ে নির্মিতব্য নগরীর পূর্ণাঙ্গ কাজ শেষ হতে লাগবে আরো ২০ বছর।
শহরটির নাম দেয়া হয়েছে- কিং আবদুল্লাহ ইকোনোমিক সিটি। সংক্ষেপে কেএইসি (কঅঊঈ)। আরবী উচ্চারণে ‘কেক’। জেদ্দা থেকে দেড় ঘন্টার দূরত্বে এই নগরীর অবস্থান লোহিত সাগরের (রেড সী) উপকূলে।
প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, শহরটি হবে সৌদি আরবের নতুন নির্মিতব্য চারটি মেগাসিটির মধ্যে সবচেয়ে ‘গতিময়’।
এখানে বিশ্বের সবচেয়ে বড় সমুদ্র বন্দরগুলোর একটি নির্মিত হবে। বন্দরে পণ্য খালাস ব্যবস্থা হবে বিশ্বের সবচেয়ে আধুনিক এবং দ্রুততম। হাজী বা অন্যান্য পর্যটকদের জন্য থাকবে দ্রুততম পরিবহন ব্যবস্থা।
এজন্য মক্কা এবং মদীনার সাথে সংযোগ করে ইলেক্ট্রিক ট্রেন চলাচলের জন্য স্টেশন নির্মাণ করা হয়েছে। হারামাঈন নামের স্টেশনটির কাজ শেষ হবে এ বছরের শেষ নাগাদ।
এছাড়া শহরের ভেতরে দ্রুত চলাফেরার জন্য থাকবে ইলেকট্রিক কার। পর্যটকরা বিনামূল্যে সেগুলো ব্যবহারের সুযোগ পাবেন। মূলত তেলের উপর চাপ কমাতে এসব ইলেকট্রিক পদ্ধতির ব্যবস্থাপনা।
সৌদি আরবের যেসব তরুণ পশ্চিমে পড়ালেখা করতে যান তাদের ভিন্ন ধরনের জীবনযাপনের কথা মাথায় রেখেই মূলত এই শহরের পরিকল্পনা। বর্তমানে দেশটির প্রায় দুই লাখ শিক্ষার্থী পশ্চিমা দেশগুলোতে পড়াশোনা করছেন। যাদের আবার বেশিরভাগ মেয়ে।
‘কেক’ সিটিতে মোট বসবাস করতে পারবেন ২০ লাখ মানুষ। আকারের দিক থেকে এটি আমেরিকার রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসি’র চেয়েও বড় হবে। সেখানে আবাসন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থান, পরিবহন ইত্যাদি বিষয় থাকবে ভারসাম্যপূর্ণ ব্যবস্থা।
৭০ বর্গমাইলের শহরটির অবকাঠামো নির্মাণের দায়িত্বপ্রাপ্ত সৌদি প্রতিষ্ঠান ইমার ইকোনোমিক সিটি’র ম্যানেজিং ডিরেক্ট ফাহাদ আল-রাশিদ জানান, দেশের ৬৫ শতাংশ ৩০ বছরের কম বয়সী নাগরিকের কথা মাথায় রেখেই তাদের মননের উপযোগী করেই শহরটি নির্মাণ করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, বাইরে পড়াশোনা করে এসে তারা এখানে তাদের মতো করে থাকতে পারবে।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button