ফাইনালে নিউজিল্যান্ড
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টান টান উত্তেজনাকর ম্যাচে নাটকীয় জয়ে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের ফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জন করলো নিউজিল্যান্ড। বিশ্বকাপের প্রথম দুই আসরেই সেমিফাইনালে উঠেছিল তারা। পরের আট অাসরে আরো চারটি সেমিফাইনাল। অথচ একবারও বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলা হয়নি নিউজিল্যান্ডের। এবার সপ্তমবারের মতো শেষ চারে খেলতে নেমে সে দুঃখ ঘোচালেন কিউইরা।
মঙ্গলবার অকল্যান্ডের ইডেন পার্কে বিশ্বকাপের প্রথম সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে ৪৩ ওভারে ২৮১ রান সংগ্রহ করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। বৃষ্টির কারণে ম্যাচের দৈর্ঘ্য কমে আসায় ডাক ওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে নিউজিল্যান্ডের লক্ষ্য দাঁড়িয়েছে ২৯৮ রান।
জয়ের জন্য ব্যাট করতে নেমে এক বল বাকি থাকতেই জয় পায় এই আসরের সহ-আয়োজকরা।
দলীয় ৭১ রানের মাথায় ব্রেন্ডন ম্যাককুলামকে ফিরিয়ে দেন মর্নে মরকেল। ডেল স্টেইনের ক্যাচে পরিণত হওয়ার আগে ২৬ বলে ৫৯ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন ম্যাককালাম। তার এই দুর্দান্ত ইনিংসে ৮টি চার ও ৪টি ছয়ের মার রয়েছে।
এরপর স্কোরবোর্ডে ১০ রান যোগ হতে না হতেই বিদায় নেন কেন উইলিয়ামসন (৬)। মরকেলের দ্বিতীয় শিকার হন তিনি। দলীয় ১২৮ রানে রানআউট হয়ে প্যাভিলনে ফেরেন মার্টিন গাপটিল।
দলীয় ১৪৯ রানের মাথায় জেপি ডুমিনির বলে কুইন্টন ডি ককের গ্লাভসবন্দি হন রস টেলর। ব্যক্তিগত ৩০ রানে সাজঘরে ফেরেন তিনি।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি দক্ষিণ আফ্রিকার। দলীয় ২১ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ১০ রান করে ট্রেন্ট বোল্টের বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফিরে যান হাশিম আমলা। এরপর স্কোর বোর্ডে ১০রান যোগ হতে না হতেই বিদায় নেন ডি কক। ব্যক্তিগত ১৪ রানে বোল্টের দ্বিতীয় শিকার হন তিনি।
তৃতীয় উইকেট জুটিতে ডু প্লেসিস-রুশো ৮৩ রানের পার্টনারশিপ গড়ে প্রতিরোধের চেষ্টা করেন। দলীয় ১১৪ রানের মাথায় প্রোটিয়াদের এই প্রতিরোধ ফাটল ধরান কিইউ বোলার এন্ডারসন। ব্যক্তিগত ৩৯ রানে রিলে রুশোকে গাপটিলের ক্যাচে পরিণত করে সাজঘরে ফেরান তিনি।
এরপর চতুর্থ উইকেটে এবি ডি ভিলিয়ার্সকে সঙ্গে নিয়ে বড় জুটি গড়ে তোলেন ফাফ ডু প্লেসিস।
৩৮ ওভার শেষে দলের সংগ্রহ যখন ৪ উইকেটে ২১৬ রান তখন বৃষ্টি হানা দেয় অকল্যান্ডে। ২ ঘন্টা খেলা বন্ধ থাকার পর খেলা আবার শুরু হলে বিদায় নেন ডু প্লেসিস (৮২)।